শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আমি চাই মর্যাদা এবং সমান অধিকার নিয়ে মানুষ বাঁচুক: ইমরান

গণজাগরণ মঞ্চ বলতেই ভেসে আসে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নাম। ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে হয়ে গেল গণজাগরণ মঞ্চের ৪ বছর পূর্তি। গণজাগরণ মঞ্চ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইমরান এইচ সরকার ।

কেমন আছেন?

ইমরান এইচ সরকার: হুম ভালো থাকার চেষ্টায় আছি।

গণজাগরণ মঞ্চের ৪ বছর পূর্তি সম্পর্কে কিছু বলুন।

ইমরান এইচ সরকার: ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এই আন্দলোন শুরু হয়েছিল। শুরুতেই ৬ দফা দাবি দেই। সেই ছয় দফা দাবির প্রধান দাবি ছিল যে আইন সংশোধন করে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করা। যেমন অপরাধীদের আপিল করার বিধান ছিল কিন্তু নির্যাতিত যারা তাদের আপিল করার সুযোগ ছিল না। এ ক্ষেত্রে আমরা কাজ করেছি। অপরাধীদের বিচার তরান্বীত করা, জামায়েতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, তাদের আর্থিক সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছি। মোটামুটি আমাদের আক্ষরিক দাবি পূরণ হয়েছে। কিন্তু আবার অনেকগুলো পূরণ হয়নি। সেটাও আমরা আশা রাখি পূরণ হবে। আর এর বাইরেও যদি আমরা বলি গণজাগরণ মঞ্চের বড় যে বিষয়টি চেয়েছিলাম যে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যে যেখানে থাকুক না কেন, যে মত বা দলেরও হোক না কেন তারা যেন যে যার জায়গা থেকে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। আমরা শুরুতেই চেয়েছিলাম যে আমরা একটা ন্যায়ের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। কিন্তু সেই ন্যায়ের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তরুণদের রাস্তায় নামতে হবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা দেখেছি বাংলদেশের তরুণরা এমনকি বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো একটা ঘটনা ঘটলে তরুণরা কিন্তু প্রতিবাদ করছে তারমানে তরুণদের কিন্তু আমরা রাজপথে নামাতে পেরেছি এটাই হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের সফলতা।

এই মঞ্চের চিন্তা শুরু কিভাবে?

ইমরান এইচ সরকার: এটা আসলে কিন্তু চিন্তা ভাবনা করে ওভাবে আসেনি। এটা সমাজ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে করতে ভিতর থেকে চলে এসেছে। আসলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে আমি আগ্রহ পেয়েছি এই মঞ্চ গড়ে তোলার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মানেই কিন্তু ন্যায় বিচার সামাজিক মর্যাদা কিন্তু এই কথাগুলো আমরা শুনিনা কোথাও। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে ঘোষণাপত্র তাতে পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই কারণে লড়াই করেছেন যুদ্ধ করেছেন যে বাংলাদেশ থাকবে সাম্য। মানে এই বাংলাদেশে সবাই সমান অধিকার পাবেন, সবার সমান মর্যাদা থাকবে এবং সামজিক ন্যায় বিচার পাবে। এই ৩টি মূলনীতি কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চেরও মূলনীতি। এবং এটাই আমাদের অনুপ্রেরণা এবং এটাই আমাদের শক্তি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এই ৩টা জিনিসকে সামনে রেখেই রক্ত দিয়েছেন, যুদ্ধ করেছেন। আমরা মনে করি তা রক্ষার জন্য আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। সে থেকেই এই মঞ্চের সৃষ্টি।

এই মঞ্চ এগিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?

ইমরান এইচ সরকার: গণজাগরণ মঞ্চ একদম প্রথম দিন থেকে নানা রকম প্রতিকুলতা, ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা এবং নানা ধরনের অপপ্রচারের সম্মুখীন হয়ে এসেছে, যেগুলো কিনা গণজাগরণ মঞ্চের সাথে কোনো সম্পর্কই নেই। গণজাগরণ মঞ্চ একটি সুনির্দিষ্ট দাবিতে আন্দোলন করে। যেখানে দাবি থাকে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, ১৬ কোটি মানুষের দাবি প্রতিষ্ঠা করা, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যেন সমান ন্যায় বিচার নিয়ে বাঁচতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই কিন্তু এই মঞ্চের দাবি । যেমন তনু, রিশা, রাজন হত্যাকাণ্ড এইসব নিয়ে কিন্তু আমরা বিচারের দাবি করেছি। দেশে যে ৮০০ কোটি টাকা লুটপাট হলো তার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েছি, রোডমার্চ করেছি। সুতরাং আমরা চাই যে দেশে দুর্নীতি না থাকুক, বিচার থাকুক, আইনের শাসন থাকুক। এর বাইরে কিন্তু কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। কিন্তু বিভিন্ন ধর্ম , বিভিন্ন রটনা রটিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের বেপারে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হয়েছে যা আমরা নিজেরাও জানিনা। এমনকি আমাদের কর্মসূচিতেও বিভিন্নভাবে বাঁধা দেয়া হয়েছে। আমাদের উপর টিয়ারসেল মারা হয়েছে, গরম জল ঢালা হয়েছে, আমাদের কর্মীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে, আমাদের মিছিল সমাবেশগুলোকে বাঁধাগ্রস্থ করা হয়েছে, আমাদের কর্মীদেরকে বিভিন্নি ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে এমনকি আমাদের কর্মীদের হত্যাও করা হয়েছে। সবাই জানেন যে আমাদের ২০ জন তরুণ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণজাগরণ মঞ্চ এখনো টিকে আছে। আজ তার ৪ বছর হয়েও গেল। ইচ্ছা আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য যা আছে তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

ইমরান এইচ সরকার:
আমি চাই মর্যাদা এবং সমান অধিকার নিয়ে মানুষ বাঁচুক। গণজাগরণ মঞ্চ এই লক্ষ্যে কাজ করে যাবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে চাই যেন তরুণরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগে দাঁড়ায় এবং ন্যায়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলে। প্রিয়.কম

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শিল্পকলা পুরস্কার পেলেন ১৩ জন আলোকচিত্র শিল্পী

 ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ, নান্দনিক বাংলাদেশ’ শিরোনামে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারবিস্তারিত পড়ুন

‘আমলাতন্ত্রকে ভেঙে গণমুখী বাজেট তৈরির আহ্বান’

জাতীয় বাজেটকে গণবান্ধব ও কর্মসংস্থানমুখী করতে হলে তেভাগা পদ্ধতিতে যেতেবিস্তারিত পড়ুন

চড়াই-উতরাই থাকবে হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

  • দাম বাড়ছেই ডিমের
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালো বাংলাদেশ দল
  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • ৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 
  • বাকৃবি গবেষকের সাফল্য এই প্রথম সুস্বাদু দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স উদ্ভাবন
  • এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ
  • আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
  • কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন
  • উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
  • সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী