আসছে ‘ভালোবাসা দিবস’ জম্ম নিবে হাজারো নবজাতক, আর যেতে হবে না ফেরার দেশে..
‘ভালোবাসা’ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কোমল দুরন্ত মানবিক অনুভূতি। ভালোবাসা নিয়ে ছড়িয়ে আছে কত কত পৌরাণিক উপাখ্যান। সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি সর্বত্রই পাওয়া যায় ভালোবাসার সন্ধান। আর তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি মানেই প্রজন্মের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন।
ভালোবাসা শব্দটি খুব সহজেই সকলের সহজাত প্রবৃত্তির সাথে মিশে যায়। কেননা জন্মের পর থেকেই মানুষের বেড়ে উঠা এই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই।
আর তাই ভালোবাসার দিনটিকে নিয়ে সকলের ভাবনাটাও থাকে বিশেষ। এই দিনটির শুরুর গল্পটাও বেশ রঙিন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পটভূমিটি কী আসুন খুঁজে দেখি ইতিহাসের পাতায়।
১৯৯৩ সালের দিকে আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে। সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের রীতিনীতিতে তিনি ছিলেন অভ্যস্ত। দেশে ফিরে তিনিই ভালোবাসা দিবসের শুরুটি করেন।
এ নিয়ে অনেক ধরনের মতবিরোধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত শফিক রেহমানের চিন্তাটি নতুন প্রজন্মকে বেশি আকর্ষণ করে। সে থেকে এই আমাদের দেশে দিনটির শুরু।
বছর ঘুরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি আমাদের ভালোবাসায় রাঙিয়ে গেলেও, ভালোবাসা কিন্তু প্রতিদিনের। জীবনের গতি নির্ধারণ করে ভালোবাসা। মানুষ বেঁচে থাকে ভালোবাসায়। এমন অনেক প্রচলিত ঘটনা, তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস নিয়ে।
কিন্তু আমাদের দেশে কিছু তরুণ তরুণী ভালোবাসা দিবসে পার্কে বা জঙ্গলে কিংবা বাসায় যে সব কাজ করে সেগুলা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পায়। সব ছেয়ে দঃখজনক বিষয় হলো এর থেকে জম্ম নেয় হাজারো নবাজাতক ।
এদের মধ্যে বেশ কিছু নবজাকতকে আমরা দেখতে পায় না। হয়তো তাদের মা বাবাও তাদের দেখতে পায় না। এর থেকে বেশি খোলা খুলি করে বলা গণমাধ্যমে সম্ভাব না। আশা করছি আমি কি বিষয়ে কথা বলছি আপনারা বুঝতে পারছেন।
আমি বলব কি অপরাধ করে ফুটফুটে এই নবজাতকরা। পৃথিবীর স্বাদ না পাওয়ার আগেই তাকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। একজন মা তার সন্তানকে ১০ মাস ১০দিন গর্ভে ধারণ করেন এবং সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তাহলে কেন তাদেরকে হত্যা করা হয়। কি দরকার ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা করার। এই নবজাতকরাও একটা মানুষ।
তাই বলছি…আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবস) একটু সাবধাণ হন। নাহলে জম্ম নিবে হাজারো নবজাকত, আর তাদের পৃথিবীর স্বাদ না পাওয়ার আগেই চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে…..। সবাইকে অনেক দন্যবাদ।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। আমাদের কন্ঠস্বর-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন