একজন নারী আল্লাহর পর কাকে সন্তুষ্ট করবেন, মা-বাবা নাকি স্বামী?
প্রশ্ন : একজন স্ত্রী আল্লাহর পর কাকে সন্তুষ্ট করবেন, মা-বাবা নাকি স্বামী? বিয়ের পর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক কতটুকু? এ বিষয়ে কোরআন ও হাদিস কী বলে?
উত্তর : কোনো সন্দেহ নেই মা-বাবার অসন্তুষ্টির সঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অসন্তুষ্টি সম্পৃক্ত। তাই মা-বাবাকে অবশ্যই সন্তুষ্ট করতে হবে। আবার স্বামীর অসন্তুষ্টি এবং স্বামীর আনুগত্যহীনতার সঙ্গে মূলত আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অসন্তুষ্টি জড়িত। তাই স্বামীকেও সন্তুষ্ট রাখতে হবে।
এর জন্য মূলত কোনো ধারাবাহিকতা নেই বা কোনো ক্রমবিন্যাস নেই। উভয়কে মুখোমুখি করার কিছু নেই। কারণ মা-বাবার সন্তুষ্টি একটা বিষয় আর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক বা স্বামীর সন্তুষ্টি আরেকটা বিষয়। দুটি বিষয় আলাদা।
মা-বাবার জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু হক রয়েছে, সেগুলো তাঁকে অবশ্যই আদায় করতে হবে। তেমনি স্বামীর হকও আদায় করতে হবে। তবে স্বামীর সবচেয়ে বড় হক হলো, আল্লাহর নবী (সা.) যেটা বলেছেন, ‘তাঁর স্বামীর সে আনুগত্য করবে’। স্বামীর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। স্বামীর সঙ্গে কোনো ধরনের অসদাচরণ এবং বিরুদ্ধাচরণ করলে তিনি সত্যিকার আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির পথ থেকে অনেক দূরে সরে যাবেন। এখানে কিন্তু কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করার বিষয় নেই।
আর মা-বাবার হকের ব্যাপারে তো আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারিমের মধ্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিয়েছেন, ‘বাবা-মায়ের প্রতি সদাচরণ করবে, সুন্দর ব্যবহার করবে’। তাঁদের সঙ্গে কী আচরণ করতে হবে এগুলো কোরআনের মধ্যে সুস্পষ্ট অনেক নির্দেশনা রয়েছে। এগুলো মা-বাবার প্রতি করতে হবে।
এখানে ক্রমবিন্যাস অথবা ক্রমধারা না থাকলেও একটি বিষয় জানতে হবে, তা হলো স্ত্রীর ওপর মূলত সরাসরি যে হকটি আদায় করতে হবে, সে হকটি বিয়ের পর স্বামীর হক তাঁর ওপর বর্তাবে বেশি। স্বামীর হকগুলো তাঁর ওপর সরাসরি এসে গিয়েছে। বাবা-মায়ের হকও তাঁর জন্য থাকবে কিন্তু এই হকটা সরাসরি তাঁর ওপর বর্তায় না যেহেতু বিয়ের পর মূলত তাঁর ওপর অন্যদের হক সংশ্লিষ্ট হয়ে যায় এবং স্বামীর হকটা তাঁর ওপর বেশি এসে যায়। এ জন্য তিনি স্বামীর হকটা আদায় করার চেষ্টা করবেন এবং বাবা-মায়ের সন্তুষ্টির চেষ্টা করবেন। তবে এর মধ্যে সুনির্দিষ্ট ক্রমবিন্যাস নেই। এখানে সমন্বয় করতে হবে। আগে মা-বাবাকে সন্তুষ্টি করবেন তারপর স্বামীকে সন্তুষ্ট করবেন অথবা আগে স্বামী তারপর মা-বাবা, ব্যাপারটি এমন নয়। দুটি কাজই করতে হবে এবং দুটি কাজই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশিত কাজ। দুইয়ের মধ্যেই সমন্বয় করে করার চেষ্টা করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন
ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস
ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন
গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন