বুধবার, মে ১৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

একদিনেই নিঃস্ব হয়ে গেলাম -প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র একটি দিনেই আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’ ১৫ আগস্টের কালরাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই রাতে মা-বাবা, ভাইসহ পরিবারের ১৬ সদস্য হারিয়ে তারা দুই বোন নিঃস্ব হয়ে যান।

সেদিনের সেই হামলা কোনো একটি পরিবারের ওপর ছিল না, তা ছিল একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রতিশোধের আঘাত। বাঙালি জাতি যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্যই ঘাতকরা জাতির জনককে হত্যা করে।

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী’ উপলক্ষে গতকাল শনিবার শোকের মাস আগস্ট শুরুর প্রথম দিনে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানম িতে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩১ জুলাই তিনি ও ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে যান। ১৫ দিনের ব্যবধানে মাত্র একটি দিনে তারা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর নিজের দেশে ফেরা নিয়ে তৎকালীন সরকার যেসব বাধা সৃষ্টি করে তা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একপর্যায়ে বাধা উপেক্ষা করেই দেশে ফিরি এবং আওয়ামী লীগের হাল ধরি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা খাদ্য গুদামজাত করেছি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সময় যেন কারও কাছে হাত পাততে না হয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। বাঙালি জাতি যেন বিশ্বসভায় চলতে পারে, এ জন্য আমরা প্রতিটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশে এখন আর মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ ও হাহাকার নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান। এ দেশের কৃষকরা বারবার বঞ্চিত হয়েছেন। দেশের বর্তমান অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কৃষক ভাইদের। তারাই আমাদের খাদ্য জোগাচ্ছেন, খাদ্য নিরাপত্তা দিচ্ছেন। কাজেই কৃষকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন, আমরা সেটাই চাই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কৃষকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ জীবন পান, সেদিকে কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এ জন্য কৃষক লীগকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।’ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের সুখ-দুঃখের সাথি হওয়ার জন্য কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের এ সময় নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নিম্ন থাকব না, উন্নত দেশ হবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমরা আর কারও মুখাপেক্ষী থাকব না।’

কৃষক লীগের আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমিও একসময় নিয়মিত রক্ত দিয়েছি। এখন বয়স বেড়ে যাওয়ায় রক্ত দেওয়া যাচ্ছে না। যারা রক্তদান করতে পারেন, তারা নিয়মিত রক্তদান করবেন- সেটাই আমার প্রত্যাশা।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুুর রাজ্জাক, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

শোকের মাসের প্রথম দিন নানা কর্মসূচি : শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিন নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আলোক মিছিলের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এবার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ৪০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আগস্টের প্রথম দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দিনভর আলোচনা সভা, সমাবেশ, শোক মিছিল, রক্তদান কর্মসূচি, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান, মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউ কম্পাউন্ডে জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী পরিবার কালো ব্যাজ ধারণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শোক র‌্যালি, গণভোজ, ঘৃণা দিবসসহ ৪০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল সকালে সাবেক উপাচার্য ও সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নতুনধারা বাংলাদেশ (এনডিবি) আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় বক্তারা বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে এনে তাদের বিরুদ্ধে আদালতের দণ্ড কার্যকরের দাবি জানান।

বিকেলে জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শোক র‌্যালি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে যান। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন এদিন নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ

পর্যটকদের জন্য বড় ধরনের সুখবর দিল গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল বাবিস্তারিত পড়ুন

আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাস্ট্রে অনুষ্ঠেয়  আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টিবিস্তারিত পড়ুন

কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন

রাশেদ খান মেনন কমরেড হায়দার আকবর খান রনো চলে গেলেন।বিস্তারিত পড়ুন

  • উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
  • সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
  • আমাদের মূল চালিকাশক্তি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পয়লা বৈশাখ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • উন্নত দেশ গড়াতে একসাথে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • আগামীকাল আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
  • রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়
  • সংস্কৃতিতে আরও বেশি শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
  • অনলাইন জুয়া-বেটিং-গেমিংয়ের কারণে অর্থপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী