এরমত হাজারো শাকিব আছে আমাদের মাঝে !
রাজধানী ঢাকায় এমন অনেক মানুষ আছে, যারা ভিক্ষা করেই জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু নিয়তির কি খেলা, সেই দলে রয়েছে অবুঝ শিশুরাও। যাদের এ বয়সে স্কুলে থাকার কথা থাকলেও পেটের দায়ে নামতে হয়েছে রাস্তায়।
জীবন মানে তাদের কাছে চারটা ডাল-ভাতের জন্য সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে জয়ী হতে অনেক চেষ্টা করতে হয় তাদের। দিনশেষে রাতে তাদের ঠাঁই হয় ফুটপাতে, যেখানে রয়েছে বৃষ্টি আর প্রচণ্ড শীতের ভয়। তবুও কষ্টের সাথে সুখ-দুঃখ মিলিয়ে কেটে যায় তাদের দিন।
এদের দলেই ঠাই হয়েছে ৮ বছরের শিশু শাকিবের। যার এ বয়সে স্কুলে থাকার কথা থাকলেও পেটের দায়ে ভিক্ষাই হল এখন তার পেশা। বাগেরহাটে জন্ম নিলেও বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে রাজধানীতে পাড়ি জমায় সে।
দুপুর আর রাতে শাহবাগে মানুষের কাছ থেকে খাবারের জন্য টাকা চায় সে। সে বলে, ‘ভাত খাওয়ার জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষা চাই এই বলে, ২ টা টাকা দেন, ভাত খাব।’
দুপুরে আর রাতে খাওয়ার টাকা জুটলেও মাঝে মাঝে সকালে উপাস থাকতে হয় তাকে। আর এভাবেই ক্ষুদার সঙ্গেও লড়াই করে বেঁছে আছে সাকিব। সে বলে, ‘মাঝে মাঝে দুপুর আর রাতের খাবারের ব্যবস্থা হলেও সকালে খাবার জন্য টাকা থাকে না। তাই মাঝে মাঝে সকালে উপাস থাকতে হয়।’
শাকিব জানায়, তার মা-ও ভিক্ষা করে। তবে কিছু টাকা ঋণ থাকার কারণে ভিক্ষার অধিকাংশ টাকা পাওয়াদারদের দিয়ে দিতে হয়। ভিক্ষা করেই চলছে তাদের মা-ছেলের জীবন।
সে জানায়, দিনশেষে রাতে মা-ছেলে একসাথে ফুটপাতে ঘুমায়। আবার ভোর হলেই উঠে যেতে হয়। মাঝে মাঝে রাতে ঘুম কম হলে দিনে পার্কে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এভাবেই কেটে যাচ্ছে তার জীবন।
এর মত হাজারো শাকিবের বাস এ রাজধানীতে। সরকারের পাশাপাশি বৃত্তবানদের একটু সুদৃষ্টিই পারে শাকিবদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে স্কুলের বেঞ্চে বসাতে। কিন্তু হতাশার সুরে শাকিব বলে, ‘কেউ আমাদের দেখেনা, ভিক্ষা করা ছাড়া আর কি করব?’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন
৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত
ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুনবিস্তারিত পড়ুন
উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
চলমান উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেবিস্তারিত পড়ুন