শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

এ কেমন রোগ!

আসহাবে কাহাফের কথা মনে আছে। পূর্বযুগে সাতজন যুবক যারা নিজেদের ঈমান রক্ষার জন্য একটি পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের ‘আসহাবে কাহাফ’ বা ‘গুহাবাসী যুবক’ বলা হয়। পবিত্র কোরআনে সুরা কাহাফের শুরুর দিকে তাদের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এবং এই ঘটনা থেকেই সুরাটির নামকরণ করা হয়েছে।

আসহাবে কাহাফের বিশেষ দিক হলো, এই সাত যুবক স্বৈরাচারী, মূর্তিপূজক শাসকের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গুহায় আশ্রয় নিয়েছিল। ক্লান্ত হয়ে তারা তখন সেই গুহায় ঘুমিয়ে পড়েন।

দিনের পর আসে রাত। রাতের পর দিন। পার হয়ে গেল বছরের পর বছর। যুবকগুলো শুয়ে আছে। গভীর নিদ্রা তাদের আচ্ছন্ন করে আছে। বাইরের কর্মব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, আকাশে বিজলির গর্জন, বাতাসের প্রচণ্ডতা এবং পৃথিবীর কোনো ঘটনাই তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। তারা যখন সেই ঘুম থেকে ওঠে, ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে ৩০৯ বছর।

কোরআনের সেই আসহাবে কাহাফের মতো বাস্তবে একজন মানুষের মিল খুঁজে পাওয়া গেল। তিনি যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের স্টকপোর্টের অধিবাসী বেথ গোডিয়ার (২২)।

একটানা ছয় মাস ঘুমিয়েছেন বেথ। পাঁচ বছর আগে নভেম্বরে বেথ তার ১৭তম জন্মদিনে ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ঘুমিয়ে পড়েন। সেই ঘুম চলে টানা ছয় মাস। ঘুমের মধ্যেই তিনি হেঁটেছেন, হালকা কিছু খাবার গ্রহণ করেছেন ও পানি পান করেছেন, এমনকি বাথরুমেও গিয়েছেন। যেমনটি আমরা রাতে ঘুমানোর সময় করে থাকি। কিন্তু পুরোপুরি ঘুম ভাঙেনি তার।

তবে সেই সাত যুবকের মতো কোনো আশীর্বাদ প্রাপ্ত হননি বেথ। বরং ভুগছেন এক কঠিন রোগে, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘কেলিন লেভিন সিনড্রোম- কেএলএস’। এটি পরিচিত ‘স্লিপিং বিউটি সিনড্রোম’ বা ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’ নামেও। ব্রিটেনের প্রায় ১০০ জন তরুণ এ রোগে ভুগছেন। এই রোগের রহস্য উদঘাটনে এখনো গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বেথের মা জেনি জানান, গত পাঁচ বছরে বেথ ৭৫ ভাগ সময়ই ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। বর্তমানে বেথ এক থেকে দুই মাস ঘুমান। তার জীবন বিছানায় ও সোফায় কাটে। খুব কম সময়ই বেথ ঘর থেকে বের হন। এমনকি দুর্বলতার কারণে হাঁটতে না পারায় চিকিৎসক তাকে হুইলচেয়ার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

বেথ যখন ঘুমান, কেউই জানে না কখন ঘুম থেকে উঠবেন। তাই তার মা তার সঙ্গে থাকারই চেষ্টা করেন। মেয়ের জন্য চাকরি ছেড়েছেন তিনি। জেনি বলেন, ‘যখন সে ঘুম থেকে ওঠে, সে জানে না সে কোথায় আছে ও ভীষণ উত্তেজিত থাকে।’

জোই লেসেইজনার নামের কেএলএস চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এক শতাব্দী আগে এই রোগ আবিষ্কৃত হয়েছে। অস্বাভাবিক ঘুম তাদের ব্যক্তিত্বকে পরিবর্তন করে দেয়। তারা অলস হয়ে পড়ে। ঘুমের ঘোরে তারা স্বপ্ন দেখে তারা পৃথিবী থেকে অনেক দূরে। ঘুম থেকে ওঠার পর তারা বুঝতে পারে তারা কিছু হারিয়ে ফেলেছে। তখন তারা উদ্বিগ্ন ও বিষণ্নতায় ভোগে। তরুণ-তরুণীদের এই রোগ তার জীবন থেকে অনেক বছর কেড়ে নেয়। বর্তমানে বেথ বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসাধীন।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ