রবিবার, মে ৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

কী পেল দুই দেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীরা বেশ উৎফুল্ল। তাঁদের এখন থেকে আমেরিকায় ঢোকার সময় আর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়তে হবে না। প্রতিবেশী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুই দেশের একসঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা তাঁদের আরও বেশি উৎফুল্ল করেছে। দুই নেতার বৈঠকে আরও নানা দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান বিষয়ে দুই দেশের সহোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। তবে এইচওয়ান ভিসা নিয়ে তাঁদের বৈঠকে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ভারতের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।

২৬ জুন ওয়াশিংটনে দুই নেতার বৈঠক হয়। পরদিনই পাকিস্তান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আমেরিকা ভারতের সুরে কথা বলছে। ট্রাম্প-মোদি উষ্ণ বৈঠকে নাখোশ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ চীনও। উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সঙ্গে দহরম-মহরম এই অসন্তোষের বড় কারণ। চীন এতটাই নাখোশ হয়েছে যে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস বলেছে, চীনকে ভারতের স্বার্থের সঙ্গে এক করে দেওয়াটা নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। গত এপ্রিলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একান্ত বৈঠক বেশ উষ্ণ ছিল।

২৬ জনু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ‘খাঁটি বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদিকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়েছেন। সেখানে দুই নেতাই পরস্পরের পিঠ চাপড়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক বিশ্বরাজনীতিতে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় কতটা পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে আসছে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। সামনের ও নেপথ্যের নানা বিষয় নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। দক্ষিণ এশিয়ার নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একান্ত নজরে এখন। বিশেষ করে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে।

নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। সে দেশের জনগণ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আমেরিকার সত্যিকার বন্ধু হিসেবে হোয়াইট হাউসে আপনাকে স্বাগত জানিয়ে আমি সম্মানিতবোধ করছি।’
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বিজেপি এবং আমেরিকায় ট্রাম্পের সমর্থক বাসুদেব প্যাটেলের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। তিনি বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড সব সময়েই আগাম অননুমেয়। কেউ জানে না, তিনি কী করবেন, কী বলবেন। আজ এক কথা বলেন তো কাল আরেক কথা বলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেকটা ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মতোই মনে হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আগে কখনোই আমাদের সম্পর্ক এত শক্তিশালী ছিল না। ভারতীয় অর্থনীতি সারা বিশ্বের মধ্যে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আমরাও প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্রুত ভারতের কাছাকাছি পৌঁছাব।’

বর্তমান বিশ্বের দুই রকস্টার নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয়ই সামাজিক যোগাযোগে খুবই সক্রিয়। তাঁরা নিয়মিত টুইট করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাই বলেই ফেলেন, ‘মোদি ও আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিশ্বের নেতা।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমেরিকা ও ভারতের অংশীদারত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুই দেশের প্রতিজ্ঞার কথা বলেন তিনি। ভারত ও আমেরিকা শয়তান জঙ্গিবাদের আক্রমণের শিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চরমপন্থী ইসলামি সন্ত্রাস নির্মূল করব।’
জঙ্গিবাদ দমনে ভারত ও আমেরিকার অভিন্ন সুর পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের অবদান কখনো আমেরিকার পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয় না। উপরন্তু পাকিস্তানকে তার মাটি ব্যবহার করে জঙ্গিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমাদের আলোচনা দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা আমেরিকা-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেছি। উভয় দেশই সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। চরমপন্থার সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সন্ত্রাসবাদ ও তাদের নিরাপদ অভয়ারণ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টি ছিল আমাদের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্য পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে যে বলা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের পাশেই পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য দেখভাল করার জন্য দুই দেশের প্রয়াসের কথা বলা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে মোদি ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
গত নির্বাচনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতীয় অভিবাসীরা ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও নির্বাচনী প্রচারণায় ভারতকে নিয়ে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। কিন্তু সম্প্রতি জলবায়ু সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি থেকে আমেরিকা সরে আসার ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এ চুক্তির কারণে ভারত বিশ্বের জলবায়ু তহবিল থেকে শত শত কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে। এমন বক্তব্যের পর মনে করা হয়েছিল, ভারতের প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আচরণ বদলে যেতে পারে। দুই নেতার বৈঠকে প্যারিস সম্মেলন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এইচওয়ান ভিসায় আমেরিকায় দক্ষ কর্মী প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেন। তাঁর এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ভারত। প্রযুক্তি খাতে ভারত থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মী আমেরিকায় আসছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির আমেরিকা সফরের আগে ভারতের প্রযুক্তি কর্মীদের দাবি ছিল, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় সাংবাদিকদের এমন আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনার কোথাও এইচওয়ান ভিসা সহজ করা বা কোটা নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানা যায়নি। এ নিয়ে ভারতীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট লোকজন মোদির ওপর অসন্তুষ্ট বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। অবশ্য আমেরিকায় বসবাসরত ভারতের অভিবাসীরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্কের পেছনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রযুক্তিবিদদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত অংশীদারত্ব ও উন্নয়নের ওপর উভয় নেতাই তাঁদের আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছেন।
ট্রাম্প-মোদি বৈঠক নিয়ে অবশ্য আমেরিকার গণমাধ্যমে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস নেই। প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস চীনের গ্লোবাল টাইমসকে উদ্বৃদ্ধ করে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গ্লোবাল টাইমসের গত জুনের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারত শক্তির দিক থেকে চীনের ধারে-কাছে নেই। আমেরিকার কাছ থেকে কৌশলগত সহযোগিতা পাওয়ার আশ্বাস কেবলই ফানুশ। প্রয়োজনের সময় আমেরিকাকে পাশে পাওয়া যাবে না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফিলিপাইনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

ফিলিপাইনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টাবিস্তারিত পড়ুন

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। শনিবার এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞাবিস্তারিত পড়ুন

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেবিস্তারিত পড়ুন

  • ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে
  • থাইল্যান্ড সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
  • তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দুপুরে দেশে আসছে
  • ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল কলম্বিয়া
  • ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করে বাইডেনের গাজানীতি ভ্রান্ত
  • কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের অভিযান
  • এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের পথে 
  • যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত
  • পালিয়ে আসা ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে ফেরত পাঠালো বিজিবি
  • যুক্তরাষ্ট্র সফর স্থগিত করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
  • থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত