খুলছে বার, পুরোনো পেশায় ফিরছে রেশমারা
সাত বছর আগে প্রথম রেশমা মুম্বইয়ে পৌঁছায়। মুম্বইয়ের কামাথিপুরার সবচেয়ে বড় পতিতাপল্লির ২ তলা একটি ভবনে থাকতে শুরু করে সে। নিজের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলা দাবি করলেও, তাকে বাংলাদেশী বলে সন্দেহ করা যায়। আঁধেরির একটি বারে নর্তকি হিসেবে কাজ করতো সে। কিন্তু রাজ্য সরকার বার নিষিদ্ধ করে দিলে হঠাৎ করেই চাকরিটা চলে যায় তার। ফলে অর্থসঙ্কট ঘিরে ধরে। তার দাবি, ২ সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দিতেই এরপর পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখায় সে। ওই ২ সন্তান কলকাতায় তার বাবা-মা’র কাছে থাকে।
তার ভাষ্য, যদি ড্যান্স বার আবার খুলে, আমি সেখানে নর্তকি হিসেবে আবার কাজ শুরু করবো। মানুষের কাছে নিজের শরীর বিকিয়ে দেয়ার চেয়ে, তাদের সামনে নাচার মধ্যে সামান্য একটু বেশি মর্যাদা থাকে। ২০০৫ সালে এ বারগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার।
তবে বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই রায় স্থগিত করেছে। এর ফলে সাবেক নর্তকিরা আবার আশা প্রকাশ করছেন পুরোনো পেশায় ফিরে যেতে। এরকমই সাবেক এক ড্যান্সারের বক্তব্য তুলে ধরেছে দ্য নিউ এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আদালত জানিয়েছে, নৃত্যপরিবেশনে যাতে নারীর সম্ভ্রম ক্ষুণ্ণ না হয় তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। ডান্স বার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যটিতে বিতর্ক চলছে। সরকারে দাবি, দেহ ব্যবসার লাগাম টানতেই ড্যান্স বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
২০০৫ সালে প্রথম ড্যান্স বারে নাচ বন্ধ করে মুম্বাই পুলিশ। তবে সরকার পাঁচতারা হোটেলগুলোকে এক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সেই নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি বলে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালের জুনে মহারাষ্ট্র সরকার আইন করে ফের ড্যান্স বারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই আইন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কোনো বিরোধিতা ছাড়াই পাস হয়েছিল।
এরপর বার মালিকরা সেই আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দাবি করা হয়, যে নিষেধাজ্ঞা আদালত আগেই খারিজ করেছে সরকার তা আইনের নামে নতুন মোড়কে এনেছে। আবেদনকারীদের এই যুক্তি মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি দীপক মিশ্র ও প্রফুল্ল সি পন্থের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, সুপ্রিম কোর্ট আগেই যাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার অনেকটা তার অনুরূপ একটি আইন করেছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট অশ্লীল নৃত্য নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষমতা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরো বলেছে, রাজ্য সরকারকে অবশ্যই নারী নৃত্যশিল্পীর সম্ভ্রম রক্ষা করতে হবে। মহারাষ্ট্রজুড়ে মোট সাতশ’ ড্যান্স বারে ৭৫ হাজারেরও বেশি নর্তকী জীবিকা নির্বাহ করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন
ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস
ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন
গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন