রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

গর্ভপাত কী, কাদের ঝুঁকি বেশি? (দেখুন ভিডিও সহ)

অনেক নারীর ক্ষেত্রেই গর্ভপাত বা অ্যাবোরশন হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫০২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শামিমা নার্গিস নীলা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের গাইনি অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রশ্ন : অ্যাবোরশন আসলে কী? কারা এই ঝুঁকিতে বেশি থাকেন?

উত্তর : অ্যাবোরশনকে বাংলায় বলা হয় গর্ভপাত। দেখা যায় একটি মায়ের বাচ্চা আসার পরে, সেই গর্ভধারণটি নিয়মিত হয় না। রক্তপাত হয়ে গিয়ে বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়। একে আমরা অ্যাবোরশন বলি। এই অ্যাবোরশনের আবার কয়েকটি ভাগ আছে। যেমন প্রথমেই বলি, থ্রেটেন্ড অ্যাবোরশন, এটাতে দেখা যায় যে মায়েরা অভিযোগ করে তাদের পালভ্যাজাইনাল রক্তপাত হচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে আমরা রোগীর ইতিহাস নিয়ে পরীক্ষা করি।

এসব পরীক্ষার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো আল্ট্রাসনোগ্রাফি। এটি করে আমরা ধারণা করি যে কী অবস্থায় আছে গর্ভাবস্থাটি। এই থ্রেটেন্ড অ্যাবোরশনের ক্ষেত্রে দেখা যায় রক্তপাত হয়, তারপরও দেখা যায় ফিটাসে বাচ্চার অংশ, বাচ্চার হৃদস্পন্দন সবই ঠিক আছে। তবে তারপরও তার একটু রক্তপাত হয়েছে। এগুলোকে আমরা বলি থ্রেটেন্ড অ্যাবোরশন। রোগীকে আমরা চিকিৎসা করি, বিশ্রাম নিতে বলি, হরমোনাল সাহায্য করি, ফলোআপ করি, দুই-তৃতীয়াংশ রোগী দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় শেষ অবস্থা পর্যন্ত নিয়মিত করা যায়। এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর রোগী রক্তপাত নিয়ে আসে। এটি আরেকটি অ্যাবোরশনের একটি প্রকার। একে আমরা বলি ইনকমপ্লিট অ্যাবোরশন।

এই ক্ষেত্রেও আল্ট্রাসনোগ্রাম করে আমাদের রোগ নির্ণয় করতে হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের করার কিছু থাকে না। তবে যেহেতু, ইনকমপ্লিট অ্যাবোরশন, বাচ্চার কিছু অংশ রয়ে গেছে, কিছু পড়ে গেছে। রয়ে যাওয়ার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যতক্ষণ বাকিটুকু বের না হবে, ততক্ষণ রোগীর রক্তক্ষরণ হবে। রোগী খারাপ হয়ে যায়। সংক্রমণ হয়। পরে বাচ্চা আসতে সমস্যা হয়। এই দলটিকে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসা করতে হবে। এদের আমরা হাসপাতালে রাখি, ডিএনসি করা হয়। তাদের ভেতর যতটুকু আছে, ততটুকু ফেলে দিই। এই ধরনের রোগীদের আমরা বলি কিছু বিরতি রেখে গর্ভধারণ করতে। এই সময় আমরা কিছু পরীক্ষা করি, যে রোগীর কেনো এমন হলো? এটা যদি ঠিক করার হয় সেটি ঠিক করি। পরে তাদের স্বাভাবিক গর্ভধারণ আসে।

প্রশ্ন : এই পরীক্ষা কখন করেন আপনারা?

উত্তর : ছয় সপ্তাহ পর আসতে বলি। কিছু পরীক্ষা করি। বিশেষ করে একটি পরীক্ষা রয়েছে টর্চ, এটা করলে অনেক কিছু ধরা পড়ে কেন গর্ভধারণ নষ্ট হয়েছে।

আরেকটি দল আছে যাকে আমরা বলি কমপ্লিট অ্যাবোরশন। এর মানে ওর বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে এবং পুরোপুরি বের হয়ে গেছে। এদের ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল ইন্টারভেনশন লাগে না। ওদের ক্ষেত্রে মেডিকেশন দিই। ছয় সপ্তাহ পর আসতে বলি। তবে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণটি জানা যায় না। তবে তাদের রক্তস্বল্পতা থাকলে সেটি ঠিক করি। এরপর তারা আবার গর্ভধারণ করতে পারে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী

মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন

ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস

ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন

গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন

  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৪ জিতলেন ক্রিস্টিনা পিসকোভা
  • দুই নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • পরোক্ষ ধূমপান থে‌কে নারী‌দের সুরক্ষা চায় ‘নারী মৈত্রী’
  • মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের নীলা
  • মন্ত্রণালয়ের নামে ‘মহিলা’ বদলে দেয়া হচ্ছে ‘নারী’