শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

গ্রেনেড হামলায় জড়িত খালেদা জিয়া ও তারেক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানও জড়িত_ এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা এ দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চান। মানুষের ভালো হোক, কল্যাণ হোক, উন্নতি হোক_ তা তারা চান না।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, এই বিচার অবশ্যই হতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস-হত্যা এবং আন্দোলনের নামে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীদের বিচারও বাংলার মাটিতেই হবে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের শহীদদের অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার লক্ষ্য ছিল তাকে হত্যা করা। এর মাধ্যমে সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগকেও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখনকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গ্রেনেড হামলার আলামত রক্ষা দূরে থাক, বরং সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে সব আলামত ধুয়েমুছে নষ্ট করে। এ হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদেরও দেশের বাইরে চলে যেতে সহায়তা করেছিল তখনকার সরকার। হামলার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে থানায় মামলা এবং শোক মিছিলও করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সংসদেও আওয়ামী লীগকে এ নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর প্রসঙ্গ তুলে ধরে খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, খুনিদের কাউকে কাউকে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় দেওয়ায় তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায়নি। খুনিদের দুইজন আমেরিকা ও কানাডায় এবং আরও দুইজন পাকিস্তানে রয়েছে। এভাবে তারা শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের খুনিদের আশ্রয় দিয়ে কীভাবে মানবাধিকারের কথা বলে?

এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে ২১ আগস্টের শহীদদের স্বজন এবং আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে কাছে পেয়ে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহতদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেখ হাসিনাকেও চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট তারা যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, একই রকম বীভৎস চেহারা ২০১৩ ও এ বছরের শুরুতেও তাদের দেখা গেছে। পেট্রোল বোমা মেরে ও আগুনে পুড়িয়ে বীভৎসভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। যেন পোড়া গন্ধ পেলেই খালেদা জিয়ার শান্তি হয়। মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য কোনো লজ্জা কিংবা দুঃখও প্রকাশ করেননি তিনি। দিনের পর দিন নিজের অফিসে বসে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িত তার কুলাঙ্গার ছেলে লন্ডনে বসেও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী পঁচাত্তর-পরবর্তী জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসনসহ হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতিও তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বজন হারানোর কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের, আমরা দুই বোন এটা হাড়ে হাড়ে টের পাই। মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলাম। স্বামীর কর্মস্থলে যেতে হয়েছিল। সঙ্গে রেহানাকে নিয়ে যাই। ফিরে এসে পরিবারের কাউকে পাইনি।’

দেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলায় তার সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বারবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমত এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কারণে বারবার বেঁচে গিয়েছি। যতক্ষণ জীবন আছে, ততক্ষণ এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’

আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল নেতা এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাহারা খাতুন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, এইচ টি ইমাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সতীশ চন্দ্র রায়, সৈয়দ অশরাফুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, দিলীপ বড়ূয়া, মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তারানা হালিম, অসীম কুমার উকিল, এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ত্যাগ করার পরই সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অস্থায়ী শহীদ বেদি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এক পর্যায়ে অস্থায়ী শহীদ বেদি ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়।

একে একে সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, রিকশা শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, তরুণ লীগ, ওলামা লীগ, হকার্স লীগ, স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বিএমএ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, ২১ আগস্ট বাংলাদেশ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শহীদ মোস্তাক আহমেদ সেন্টু স্মৃতি পরিষদসহ অসংখ্য দল ও সংগঠন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে।

দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সে দিনের ঘটনার নৃশংস ও ভয়াবহতার বিভিন্ন দিক সংবলিত আলোকচিত্রের ডিসপ্লে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আরও আয়োজন :২১ আগস্টের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোমবাতি প্রজ্বালন ও ২৪ মিনিট নীরবতা পালন করেছে। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, এমদাদুল হক, শাহজাহান রেজভী, আমিনুল ইসলাম রিপন, শাহ পরান সিদ্দিক তারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দিনটি উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, অধ্যাপক ডা. আসাদুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল মজিদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. আবু তাহের প্রমুখ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে গ্রেনেড হামলার ওপর আলোকচিত্র এবং শহীদ ডা. মিলন হলে তথ্যচিত্র প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি গনি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নাছিরউল্লাহ ভঁূইয়া, হারুনুর রশীদ, আবদুর রাজ্জাক, শফিউজ্জামান স্বপন, আবদুল আজিজ, দুলাল মিয়া, মাসুদ আলম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারেরবিস্তারিত পড়ুন

আওয়ামী লী‌গ ভিসানীতির পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি আওয়ামী লী‌গ এগু‌লো পরোয়া করে না মন্তব‌্যবিস্তারিত পড়ুন

কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন

রাশেদ খান মেনন কমরেড হায়দার আকবর খান রনো চলে গেলেন।বিস্তারিত পড়ুন

  • বিএনপি আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা 
  • মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ
  • উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: রিজভী
  • আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতা বিরোধীদের নীলনকশার অংশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
  • বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
  • পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেছেন মির্জা ফখরুল
  • ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন 
  • সব পন্থি সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়: ফখরুল
  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের
  • প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন 
  • হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন
  • খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি