চার মাসেও পাবনার ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি। প্রাথমিকভাবে জঙ্গিদের দায়ী করা হলেও এখনো জানা যায়নি হত্যার কারণ। শনাক্ত হয়নি জড়িতরাও। আশ্রমের নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়ানোর পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আতঙ্ক কাটছে না।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন। পাত্রভ্রমণে রেব হয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডে। প্রাথমিকভাবে জঙ্গিদের কাজ বলা হলেও এখানো জানা যায়নি হত্যার কারণ। শনাক্ত হয়নি জড়িতরাও। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হওয়া এবং প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় চিন্তিত আশ্রম সেবকরা।

ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সহপ্রতি ঋর্তিক ভক্তপদ সরকার বলেন, দ্রত বিচার আইনে এই হত্যার বিচার হতে হবে। আর হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হলে আতঙ্ক যেমন কাটছে না তেমনি হুমকির মুখে পড়বে সবার শান্তিপূর্ণ স্ব-অবস্থান।

ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর বলেন, প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার হতে হবে। তবে কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে প্রত্যাশাও করেন তিনি।

পাবনা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর বলেন, আশ্রমে নিরাপত্তার কোনো কমতি নেই। তবে এই মামলায় তদন্তে নিশ্চিত হয়েই প্রকাশ করা হবে বলে জানালেন তিনি।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত এক শিবির নেতাসহ সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।