শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

জঙ্গিরা ঘিরে ফেলেছে, ফোন দিয়েও শেষ কথা হলো না স্ত্রীর সঙ্গে

‘‌অঙ তেই থাংথং লিয়া। অনি বাগবি সুরিয়াইদি…।’‌ বাংলায় অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায়, আমরা আর বাঁচব না। আমাদের জন্য প্রার্থনা করো। এটাই ছিল টেলিফোনে শেষ কথা কাশ্মীরে শহিদ হওয়া ত্রিপুরার সেনা জওয়ান চিত্তরঞ্জন দেববর্মার। নাগরোটায় সেনাঘাঁটিতে বুলেটবিদ্ধ হয়ে তিনি স্ত্রী নমিতাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু কথা বলা হয়নি।

স্ত্রী কাছে না থাকায় ফোন রিসিভ করেছিলেন বড় বোন রঞ্জনী। তাই তার সঙ্গেই কথা হয়। তখনও গুলির লড়াই চলছিল জম্মু–শ্রীনগর সড়কে নাগরোটায় ভারতীয় সেনার ১৬৬ মিডিয়াম আর্টিলারি রেজিমেন্টের ক্যাম্পে। এরই মধ্যে চিত্তরঞ্জন বোনকে ফোনে জানিয়েছিলেন, তাদের সেনাছাউনি ঘিরে ফেলেছে পাক–মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ভোররাত থেকেই আক্রমণ চলছে।

চিত্তরঞ্জনের কল্যাণপুরের বাড়িতে ফোন আসে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ। এটাই ছিল তার শেষ ফোন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ কথা বলা। সাধারণত মৃত্যুর আগে আক্রান্ত জওয়ানদের ঘটনাস্থল থেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একবার কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। চিত্তরঞ্জন নিজেও ততক্ষণে বুঝে গিয়েছিলেন, মৃত্যু আর দূরে নয়। তাই বলেই ফেলেছিলেন, আমি আর বাঁচব না।

নাগরোটার সেনা ক্যাম্পে ভোর ৫টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। তাতে দুই অফিসারসহ ৭ সেনা শহিদ হন। পাল্টা আক্রমণে তিন জঙ্গিও নিহত হয়। কিন্তু আক্রমণের মাঝামাঝি সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাড়িতে একবার ফোন করার পর চিত্তর ফোন আর আসেনি। কয়েক ঘণ্টা পরে বিকেলের ফোনে আসে মৃত্যুর খবর। মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই জীবনদীপ নিভে যায় বীর জওয়ানের। পাঁচ ভাই–বোনের পরিবারে চিত্তরঞ্জন ছিলেন সবার ছোট। তাই বরাবরই একটু আদুরে ছিলেন। ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর যখনই ছুটিতে বাড়ি আসতেন, তাকে নিয়ে ছিল বাড়তি উন্মাদনা। শেষবার বাড়ি এসেছিলেন জুন মাসে।‌ ছোট্ট শিশুপুত্র কুপলাইয়ের বয়স সবে ৮ বছর, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে ইনলাকের বয়সও মাত্র ১২, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্ত্রী নমিতার আক্ষেপ কাটছেই না। মৃত্যুর আগে কথা বলতে চেয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু কথা হল না। আর কোনও দিন কথা হবে না দু’‌জনের। ছুটিতে বাড়ি আসবে না দুই শিশু সন্তানের বাবা। বোন রঞ্জনীও ভাইয়ের শেষ কথাটি এখনও ভুলতে পারছেন না ‘‌আমি আর বাঁচব না। আমার জন্য প্রার্থনা করো।’‌ শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার। শহিদ ছেলের কফিনবন্দী দেহ আজ বৃহস্পতিবার বাড়ি আসার কথা। সূত্র: আজকাল

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ফিলিস্তিনকে তাদের জনগণেরবিস্তারিত পড়ুন

থাইল্যান্ড সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডে সরকারি সফর দুই দেশে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগ সূচনাবিস্তারিত পড়ুন

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দুপুরে দেশে আসছে

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ বৃহস্পতিবারবিস্তারিত পড়ুন

  • ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল কলম্বিয়া
  • ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করে বাইডেনের গাজানীতি ভ্রান্ত
  • কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের অভিযান
  • এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের পথে 
  • যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত
  • পালিয়ে আসা ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে ফেরত পাঠালো বিজিবি
  • যুক্তরাষ্ট্র সফর স্থগিত করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
  • থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
  • নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
  • সৌদি আরব যেকোনো ভিসায় করা যাবে ওমরাহ!
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ