বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ধর্মের নামে সন্ত্রাস বরদাশত করা হবে না : প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুনরায় কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধর্মের নামে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। ধর্মের নামে কোনো সন্ত্রাসী কমকাণ্ডকে আমরা বরদাশত করব না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে লালবাগের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জি, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেনগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, লালবাগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ মন্দিরে আগত ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের প্রতিটি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে। সবার রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে এ দেশের মাটিতে। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাই এদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। তাই সব ধর্মের মানুষ তাদের এই দেশটাতে ঐকবদ্ধভাবে বসবাস করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

‘জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সব সময়ই কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আগামীতেও নেবে। কারণ এই দেশে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। ধর্মের নামে কোনো সন্ত্রাসী কমকাণ্ড, সেটাও আমরা বরদাশত করব না।’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যের ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। এখানে কিন্তু জঙ্গিবাদের আসলে কোনো জায়গা নেই। কিন্তু যারা এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তারা ধর্মবিরোধী কাজই করে। ধর্মের অবমাননা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে সকলে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এবং করে। সেই পরিবেশটাই আমরা তৈরি করতে চাই- ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। আমরা বাংলাদেশিরা সেটাই মানি এবং সকলে মিলে যে কোনো উৎসব উদযাপন করি। কাজেই সকলের তরে সকলে আমরা, আমরা মানবের তরে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশটা সকল ধর্মের জন্য, সবাই এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করবে। যার যার ধর্ম সম্মানের সাথে পালন করবে, একজন অপরজনের ধর্মের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে। সুন্দরভাবে মানুষ বাঁচবে, উন্নত জীবন পাবে- সেটই আমি আশা করি।’

প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর দিনে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘সারা দেশে বিপুল উৎসাহের সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। আপনারা প্রার্থনা করবেন আমাদের এই দেশটার যেন উন্নতি হয়। দেশের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করে। আমরা বাংলাদেশ যেন দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী পরে রাজধানীর টিকাটুলীর রামকৃষ্ণ মিশন পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, সারা দেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি পূজামণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলা ভাষা ওবিস্তারিত পড়ুন

মোহাম্মদপুরে ৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন বড়সায়েক মৌজায় দীর্ঘদিন ধরেবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন

  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
  • আজ আইওএম মহাপরিচালক ঢাকায় আসছেন 
  • অর্থনীতির প্রভাব থেকে বাংলাদেশ মুক্ত আছে : ওবায়দুল কাদের
  • গনতন্ত্র সুসংহত করাতে সবার অংশগ্রহণ জরুরী : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • সেনাবাহিনীকে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
  • নবনির্মিত এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • আজ আইওএম মহাপরিচালক ঢাকায় আসছেন 
  • প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকার টিকিটে চোখ পরীক্ষা করালেন
  • সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা
  • ইবির শেখ রাসেল হলের নয়া প্রভোস্টের দায়িত্বগ্রহণ
  • পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
  • অবশেষে রাতে ঢাকায় ঝরছে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি