নারীদের জিংক গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিৎ যে ৫ টি কারণে
জিংক এমন একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজনীয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। অনেকেই যে জিনিসটি জানেন না তা হল এই খনিজ উপাদানটি নারী জীবনের সবগুলো স্তরের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কেন নারীদের জিংক গ্রহণ করা উচিৎ সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন।
১। ডিজমেনোরিয়া
২০০৭ সালে মেডিক্যাল হাইপোথিসিসে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী জিংক গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে মাসিকের ব্যথা দূর হয়। একে প্রাথমিক ডিজমেনোরিয়া বলে যা মাসিকের প্রথম কয়েক দিনে হতে দেখা যায়। জিংক প্রোস্টাগ্লান্ডিন এর বিপাকে বাঁধা দেয়। প্রোস্টাগ্লান্ডিন এমন একটি প্রদাহজনক যৌগ যা বেদনাদায়ক সংকোচনের কারণ।
২। মিউকোকিউটেনিয়াস ইনফেকশন
আপনি কি জানেন জিংকের ঘাটতি ভেজাইনাল ক্যান্ডিডাইটিস হওয়ার সাথে সম্পর্কিত? হ্যাঁ আমেরিকান জার্নাল অফ অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনোকোলজির এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, মিউকোকিউটেনিয়াস ইনফেকশন প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা রাখে জিংক। যা হয়ে থাকে Candida albicans এর দ্বারা। এজন্যই নারীদের জিংক গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে ইমিউনিটির উন্নতি হয় এবং এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
৩। গর্ভাবস্থায়
গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফলিক এসিডের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মতোই জিংক গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ও পরামর্শ দেয়া হয়। এর কারণ গর্ভাবস্থায় জিংকের ঘাটতির ফলে মায়ের অসুস্থতা, দীর্ঘায়িত গর্ভকাল, অপর্যাপ্ত লেবার পেইন এবং ভ্রূণের বৃদ্ধির বৈকল্য ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় জিংক সমৃদ্ধ খাবার যেমন- পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ার বীচি, টফু এবং কাজু বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন।
৪। মেনোপোজ
আয়রনের মত জিংক ও ঐতিহ্যগত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট থেরাপির আনুষঙ্গিক বিষয় হিসেবে কাজ করে। নারীর মেনোপোজ পূর্ববর্তী উপসর্গের উন্নতিতে সাহায্য করে জিংক। মেনোপোজ হয়েছে এমন নারীদের মেজাজ এবং জ্ঞানীয় কাজের উন্নতিতে সাহায্য করে জিংক। সাধারণত মেনোপোজের সময় একজন নারীর শরীরে অনেক ধরণের হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং একারণেই মেজাজের পরিবর্তন ও লক্ষ করা যায়।
৫। অষ্টিওপোরোসিস
২০০৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় যে, যে নারীরা অষ্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত তাদের জিংক এর ঘাটতি থাকে। সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে জিংক গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি করলে তাদের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। তাই ক্যালসিয়ামের সাথে সাথে আপনার প্রাত্যহিক জিংক গ্রহণের মাত্রাও বৃদ্ধি করা উচিৎ। বিশেষ করে মেনোপোজের পরে অষ্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমানোর জন্য।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন
ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস
ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন
গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন