‘পরকীয়ার বলি’ শিশুকন্য নাফিজা, ৪মাস পর মামলা
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পরকীয়া প্রেমে পড়ে ৬ মাসের কন্যাসন্তান হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। শিশুর ফুফু ছালেহা বেগম ৯এপ্রিল সিলেটের জুডিশিযাল ম্যাজিষ্ট্রেট ৫ম আদালতে এ মামলা (সিআর-৯০/২০১৭) করেন।মামলায় শিশুর মা রহিমা বেগম (২৯) ও তার পরকীয়া প্রেমিক এনামকে আসামী করা হয়েছে। রহিমা বেগম সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার নয়াগ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে ও এনাম (৩৫) একই গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বমহল থেকে ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ২০১১সালে বিয়ানীবাজার পৌর শহরের নয়াগ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয় একই উপজেলার ঘুঙ্গাদিয়া দরগাটিলার মরহুম সমছুল হক মাখনের পুত্র উজ্জল হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকে রহিমা তার নিজ গ্রামের চাচাতো ভাই এনামের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে।
পরকীয়া নিয়ে স্বামী উজ্জল ও স্ত্রী রহিমার মধ্যে প্রায়ই বিরোধ লেগে থাকতো। অন্যদিকে শিশুকন্যাটি তাদের পরকীয়ায় বাঁধা হওয়ায় রহিমা ও এনাম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক রহিমা তার ৬মাসের দূধের শিশু নাফিজা জান্নাত তাহিয়াকে গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যার নাফিজার লাশ বাড়ির পুকুরে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ পরদিন সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করে।এ ঘটনায় শিশুর স্বজনরা মা রহিমা ও তার পরকীয়া প্রেমিক এনামকে আসামী করে থনায় মামলা দিতে চাইলে মামলা নেয়নি পুলিশ। রহিমার পরকীয়া প্রেমিক এনাম শাসকদলীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় নাফিজার পিতা ও স্বজনদের মামলা নেয়নি। উল্টো এনাম পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রেমিকা রহিমাকে বাদী করিয়ে শিশুর নিরপরাধ পিতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করায় এবং তাকে জেলে পাঠায়। ঘটনার পরপরই রহিমা তার পিত্রালয়ে অবস্থান করছে এবং এনামের সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখে চলেছে। ঘটনার পর শিশু নাফিজার দাদী তয়রুন বিবি পুলিশের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করে আসলেও কোন প্রতিকার পান নি। অবশেষে ঘটনার দীর্ঘপ্রায় চারমাসের মাথায় শিশু নাফিজা জান্নাতের ফুফু ছালেহা বেগম বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। আদালত তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নিতে বিয়ানীবাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম খোকন জানিয়েছেন।
এনাম ও রহিমার সাথে মুটোফোনে পৃথক যোগাযোগ করা হলে তারা পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,ঘটনার পর মামলা ও ঘাতক উজ্জলকে গ্রেফতারে এনাম শিশুর মাকে সহযোগিতা করে। আর এ কারনেই আসামীপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অপবাদ রটিয়েছে। এ ঘটনায় নতুন করে মামলা দায়েরের বিষয়টি তারা অবগত নান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন
৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত
ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুনবিস্তারিত পড়ুন
উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
চলমান উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেবিস্তারিত পড়ুন