পুলিশ দিল গুড়িয়ে, জনতা দিল পুড়িয়ে
চট্টগ্রাম নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোড থেকে সদরঘাট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকায় বস্তিতে গড়ে তোলা শতাধিক মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
অভিযানে মাদকবিক্রেতা ও সেবনকারীদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযানে পুলিশের সঙ্গে অংশ নেয়। আস্তানাগুলো পুলিশ গুড়িয়ে দেয়ার পর উত্তেজিত জনতা সেগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ।
রউফ বলেন, কোতয়ালি থানার আইস ফ্যাক্টরি রোডে স্টেশন কলোনি ও ধোপার কলোনিতে শতাধিক মাদকের আস্তানা আমরা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছি। বরিশাল কলোনি, মরিচ্যা কলোনিতেও মাদকের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, আস্তানাগুলো গুড়িয়ে দিয়ে পুলিশ স্থান ত্যাগের আগেই সেগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় জনতা। এসময় জনতাকে উল্লাস করতেও দেখা গেছে।
অভিযানের সময় ধোপার কলোনি থেকে আটজন মাদকসেবীকে আটক করে কোতয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ৯ আগস্ট ভোরে একবার বস্তিগুলোতে অভিযান চালিয়ে মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। দেড় মাসের মধ্যে আবারও সেখানে আস্তানা বানিয়ে মাদক সেবনের আসর বসতে শুরু করে বলে জানান স্থানীয়রা।
মাদকবিরোধী তিনদিনের সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার আবারও পুলিশ বস্তিগুলোতে অভিযান চালায়।
অভিযানে নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার আব্দুর রহীম, কোতয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন এবং সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আক্তারসহ অন্ত:ত ৬০ জন পুলিশ অংশ নেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুন- ১৭ ঘণ্টা পরও পুরোপুরি নেভেনি
গতকাল (৪ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ঈসানগর এলাকায় অবস্থিতবিস্তারিত পড়ুন
পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ছাত্রলীগ চবিতে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক আমীর উদ্দিনকে অপসারণ ও লাঞ্ছনার বিষয়েবিস্তারিত পড়ুন
ঋণের বোঝা নিয়ে দম্পতির ‘আত্মহত্যা’
মন্দিরের পাশেই কুঁড়েঘরে থাকতেন পুরোহিত স্বপন দে ও তাঁর স্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন