বন্ধ্যাত্বের চিকিত্সায় বাড়ছে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা
বন্ধ্যাত্ব এখন আর বিরল কোনও সমস্যা নয়। আধুনিক লাইফস্টাইল, স্ট্রেস, অনিয়মিত ডায়েট, কাজের চাপে এখন বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন অনেক মহিলাই। সেই সঙ্গেই বেড়ে চলেছে হরমোনাল ফার্টিলিটি চিকিত্সাও। তবে এই সব চিকিত্সা বাড়িয়ে তুলতে পারে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। জানাচ্ছে নতুন এক গবেষণা।
সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের গবেষকরা জানাচ্ছেন, যে সব মহিলা কৃত্রিম প্রজননের সাহায্য নেন বা বন্ধ্যাত্বের কারণে হরমোনাল ফার্টিলিটির চিকিত্সা করান তাঁদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের থেকে প্রায় অনেকটাই বেশি।
ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফের সাহায্যে এখন অনেকেই গর্ভধারণ করেন। এই আইভিএফ-এর জন্য প্রয়োজন কনট্রোলড ওভারিয়ান স্টিমিউলেশন বা সিওএস। ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের মুখ্য গবেষক ফ্রিডা লান্ডবার্গের মতে যেই মহিলারা সিওএস করান তাঁদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
দু’ধরনের টিস্যু দিয়ে স্তন গঠিত হয়। ঘন ফাইব্রোগ্ল্যান্ডুলার ও পাতলা ফ্যাটি টিস্যু। যাঁদের স্তন ঘন ও ভারী তাঁদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পাতলা স্তনের মহিলাদের তুলনায় অন্তত ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি। দেখা গিয়েছে যাঁদের স্তনের ঘনত্ব বেশি তাঁরা অনেক বেশি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভোগেন। সিওএস চিকিত্সা করালে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলে স্তনের টিস্যুর ঘনত্ব বাড়ে। যা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
এই গবেষণার জন্য ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৪৩,৩১৩ জন মহিলার উপর পরীক্ষা চালানো হয়। বন্ধ্যাত্বের চিকিত্সা ছাড়াও বয়স, উচ্চতা, ওজন, স্মোকিং, ড্রিঙ্কিং-এর অভ্যাস, পারিবারিক ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেও গবেষণার ফল জানানো হয়।
ব্রেস্ট ক্যানসার রিসার্চ জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন
ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস
ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন
গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন