শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বহু আলোচিত মাছের বাজারে ২ ঘন্টায় বিক্রি ১ কোটি টাকা

তাজা ও ভেজালবিহীন মাছের জন্য সুনাম ছরিয়ে পড়েছে বহু আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়তের। এটি প্রায় দুইযুগের ও বেশি আগে প্রতিষ্ঠিত মাওয়ায় এ পদ্মা পাড়ের মাছের বাজার নামক মাওয়া মৎস আড়ৎ হিসেবে পরিচিত ও পাইকারী বাজার নামে রূপলাভ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ বিক্রির জন্য আসে। তেমনি ঢাকাসহ দূর দূরান্তের পাইকারাও এখানে আসে তাজা মাছ কিনতে।

তবে দাম একটু চওড়া হলেও তাজা মাছের কোন প্রকার জুড়ি নেই। এখানে সন্ধ্যা রাত্রের আসা কিছু কিছু মাছ বরফ দেয়া থাকলেও ফরমালিন মুক্ত মাছ এ বাজারে পাওয়া যায়। মাত্র দুই ঘন্টার এ মৎস্য আড়তে প্রতিদিন ১ কোটি টাকার মাছ বিকি-কিনি হয়ে থাকে। আজ থেকে প্রায় ৩১ বছর আগে মাওয়া চৌরাস্তার পশ্চিমে পদ্মা পাড়ে। এ আড়তটি খুব ভোরে জেলেরা রাতে পদ্মা মেঘনাও সুরেশ্বর বিভিন্ন নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রির জন্য এ আড়তে এসে বিক্রি করেন। পাইকাররা এখান থেকে অল্পদামে কিনে ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে বেশী দামে বিক্রি করেন। সেই সাথে স্থানীয় স্ব”ছল ও মাছ প্রিয় মানুষগুলো পদ্মার তাজা মাছ কিনতে ছুটে আসেন এই পদ্মা পাড়ে। আবার অনেকে বিয়েসাদী, জন্মদিন ও অন্যান্য কোন অনুষ্ঠানের জন্য অতিথিদের আপ্যায়নে পদ্মার বড় ও তাজা মাছের জন্য সকাল সকাল ছুটে আসেন এই পদ্মা পাড়ে।

এভাবে করেই ৫/৭ জন আড়তদার থেকে এর পরিচিতি বেড়ে ২৯ জন আড়তদার। এমন কি বড় বড় মাছ দেখার জন্য খুব ভোরে নামাজ পড়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে লোকজন ছুটে আসে পরিবার পরিজনকে নিয়ে এ বাজারে। প্রতিদিন সকালে বেশ জমে উঠতে থাকে এ মাছের বাজার। সেই থেকে শুরু করে এটি এখন বাংলাদেশের বৃহৎ একটি মৎস্য আড়তে পরিণত হয়েছে। জেলেরা এখন আর মাছ নিয়ে ঢাকার আড়ত গুলোতে যায় না। বরং তাজা মাছের জন্য পাইকারাই ছুটে আসেন এ মাওয়া মৎস আড়তে।

মাওয়া মৎস্য আড়তের সেক্রেটেরী মোঃ চান মিঞা মাদবর জানন, প্রতিদিন এ আড়ৎ হতে ১ কোটি টাকার মাছ বিকি-কিনি হয়ে থাকে। বরিশাল, খুলনা, বাগের হাট, ময়মনসিংহসহ পদ্মার ও দেশের বিভিন অঞ্চলের জেলেরা এখানে মাছ নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। সাধারণত ইলিশ সহ বড় বড় মাছ এখানে আসে বেশী। মুন্সীগঞ্জ (বিক্রমপুর) ও ঢাকাসহ দেশের দূর দূরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এখানে এসে মাছ কিনে নিয়ে বিভিন্ন বাজারগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। ভোররাত ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘন্টা বেচাকেনা হয়। যেদিন মাছ বেশী আসে সেদিন কিছুটা বেশী সময় ধরে এখানে মাছের বেচা-কেনা হয়। তবে মাত্র দুই ঘান্টায় কোটি টাকার বেশী লেন-দেন হয়ে থাকে। মাছের দাম টা যদিও একটু বেশী, তাজা ও ভেজাল বিহীন মাছের জন্য এ আড়তের সুনাম ইতিমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশের লোকের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকায় বসবাস করেন যারা এ মাছের আড়ৎ সম্পর্কে জানেন, বড় কোন অনুষ্ঠান হলেই তাজা ও বড় মাছের জন্য ছুটে আসেন এই আড়তে। তিনি আরো বলেন, এখানে মাছ বেচা-কেনা হয় নিলামে বা ডাকের মাধ্যমে। আবার বড় প্রকার মাছের কেজি দরেও পাওয়া যায়। এদিকে এ মৎস্য আড়তটিতে গড়ে উঠেছে ২৯ জন আড়ত দার মিলিত হয়ে একটি সমবায় সমিতি। এর আয় ব্যয় সমিতির সদস্যরা ভোগ করে থাকেন। এ সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এখানে পাইকাররা কখনও কোন দুর্ঘটনার শিকার হননি। সমিতির সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য সব সময় কাজ করে এখানে ১ কোটি টাকার লেনদেন হলেও নিরাপত্তার জন্য কখনও পুলিশ ডাকতে হয়নি।

তবে আড়তটির জায়গা কম থাকায় এখানে ভোর সকাল থেকেই বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। পাইকারিদের মাছের ট্রাকগুলো ঠিক মত আড়তের কাছাকাছি পার্কিং ও না আসতে পাড়ায় চড়ম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। আড়তদার মোঃ আঃ মজিদ শেখ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনেকেই অভিযোগ করে জানান, এখানে ৮৭টি মোদি দোকান প্রায় ২/৩শ কয়াল-কর্মচারী অধ্যদিনমজুর, আড়তের থাকা হোটেলসহ নানা খাবারের ব্যবসায়ী আরও ১ হাজার ঘাট নিয়ে কর্মরত চলাচল রত সাড়ে ১২ হাজার লোক ও ১১টি মাছের -ট্রাকে সিএনজি, টমটম টেম্পু অটো গাড়ীতে রয়েছে প্রায় ৬শ শ্রমিক এরা সবাই মিলে এ আড়তের রুটি রুজির উপর দিনমজুর। সরকারের দেয়া জায়গার উপর ১১ মাস চলছে আড়তদারি করে আসছি। মাওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার নীতিমালা মেনে সবাইকে। এর আগে গত বছর পদ্মা সেতুর কাজের জন্য মাওয়া ঋৃষিবাড়ি ঘাট থেকে আড়তটি সরিয়ে ইস্থাই ভাবে আনাহলো ১০০ মিঃ উত্তরের এলাকায়। তবে সরকারের নদী শাসনের কাজের জন্য নেয়া সাবেক জায়গার তুলনায় বর্তমানে জায়গা পেয়েছি কম তাতে আড়তে যানজটর সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। মানুষগুলোর বিষয়ে সরকার কী ভাবছে তাস্পষ্ট করেননি ও শ্রমিকদের উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি সরকার।

এ ব্যাপারে মাওয়া লৌহজং থানার ওসি মোঃ আনিছুর রহমান জানান, যানজট নিরসন সহ আড়তের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করতে যাচ্ছে। এটি দেশের অন্যতম একটি মৎস্য আরত হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে। তাই সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। অচিরেই এই আড়তের সমস্যাগুলো নিরসন করা হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন

স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন

ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন

  • মুন্সীগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান
  • মুন্সীগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে একাধিক মামলার আসামী বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেফতার
  • ব্যাপক ক্ষতিঃ ঝড়ে ২০০ বাড়িঘর বিধস্ত !
  • সিরাজদিখানে পরকীয়া প্রেমের কারণে গৃহবধুর আত্মহত্যা
  • মুন্সীগঞ্জে ২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
  • মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া থেকে ৩৫টি ড্রামভর্তি গলদা চিংড়ি মাছের পোনা জব্দ করেছে কোস্টগাড
  • সিরাজদিখানে মোবাইলের জন্য কিশোরের আত্মহত্যা
  • কাউন্সিলরের অত্যাচার সইতে না পেরে গলায় ফাঁস!
  • মুন্সীগঞ্জের আতঙ্কিত এক নাম শরীফ মেম্বার
  • মুন্সীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী মর্মান্তিক মৃত্যু
  • দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
  • মুন্সীগঞ্জ শহরে আন্দোলনে নেমেছে চালক ও মালিকরা, পুলিশের লাঠি পেটা