বাংলাদেশি ‘সুখী’তে সুখ খুঁজে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নারীরা!!!
বাংলাদেশি গর্ভনিরোধক বড়ি ‘সুখী’তেই সুখ খুঁজে পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারীরা। গ্রাম কিংবা শহর, নিম্নবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত—জন্মনিয়ন্ত্রণে সব শ্রেণির নারীর ভরসা রয়েছে এই খাবার বড়ির ওপর।
সীমান্ত পেরিয়ে ‘সুখী’ এখন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদসহ একাধিক এলাকায় বাজার সৃষ্টি করেছে। কলকাতা শহর ও শহরতলীতেও রয়েছে এর বিস্তার। এসব এলকায় ১০ রুপি বা ১২ টাকায় সুখী বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চোরাপথে ভারতে ঢুকছে ‘সুখী’। পাচারকারীদের হাত ঘুরে ছড়িয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। এমনকি পাড়া-মহল্লার নারীদের ঘর পর্যন্ত এটি পৌঁছে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা।
আর সুখীর দাপটে ভারতের গর্ভনিরোধক বড়ি ‘মালা.ডি’ বাজার হারাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দোকানদাররা। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নারীদের প্রথম পছন্দ ‘সুখী’।
সীমান্তবর্তী নারীদের কাছে ‘সুখী’ ব্যাপক জনপ্রিয় বলে জানান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিশিষ্ট চিকিৎসক পঙ্কজ কুমার অধিকারী। তিনি বলেন, সুখীতে ইস্ট্রোজেন প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকে, যা জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। কম-বেশি এ বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে তা নিয়ে নারীরা চিন্তিত নন। অল্প পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে সুখী। মুদি দোকানেও দেদার বিক্রি হচ্ছে। তাই সুখীর ওপর নির্ভর করছে নারীরা।
কলকাতার শহরতলীর বিভিন্ন দোকানে সুখী বিক্রি হয়। এসব এলাকার দোকানিরা জানান, শুধু নারীরা নন, পুরুষরাও দোকানে এসে সুখী খোঁজেন। বেশির ভাগ দম্পতির আস্থা সুখীর ওপর।
দোকানিদের দাবি, চাহিদার থাকায় তারা দোকানে সুখী রাখতে বাধ্য হন। তবে সীমান্তে কড়াকড়ি হলে এই বড়ির জোগান কমবে।
তবে সরবরাহ বেশি পেলে পশ্চিমবঙ্গের বিক্রেতারা সুখী মজুদ করতেও ছাড়েন না বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন
ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস
ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন
গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন