বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বাংলাদেশে ২০ পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর মরণ নেশা ইয়াবা..!

ভয়ঙ্কর মারণ নেশা ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে স্রোতের মতো। মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার ৩৭টি কারখানায় তৈরির হয় এসব ইয়াবা। কক্সবাজার ও বান্দরবানের ২৭২ কিলোমিটার সীমান্ত পথের ২০টি পয়েন্ট দিয়ে দেশে ঢুকছে সেগুলো। অল্প পূঁজিতে বেশি লাভের নেশায় এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন রাঘব বোয়ালরা। তবে অজানা কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে তারা।

কখনো ভেলায় ভাসিয়ে, গাড়িতে সংবাদপত্রের স্টিকার লাগিয়ে, কখনো বা ল্যাপটপ ও মোবাইলের বক্স করে, দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি বা গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর ঢুকিয়ে পাচার হয় এসব ইয়াবা। নারী মাদক পাচারকারীরাও বিশেষ পদ্ধতিতে এ মাদকদ্রব্য পাচার করে। কিছু চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করলেও বেশিরভাগই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবাধে এ মরণ নেশার বিস্তার ঘটিয়ে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন চোরকারবারী ও ব্যবসায়ীরা।

স্থলপথে শাহপরীর দ্বীপ, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, জালিয়াপাড়া, হেচ্ছারখাল, নাইট্যাংপাড়া, বড়ইতলী, জাদিমোরা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে মিয়ানমারের ইয়াবা। আর সমুদ্রপথে হাড়িয়াখালিভাঙ্গা, কাঁকাবুনিয়া, খুরেরমুখ, আলুর ডেইল, মুড়ার ডেইল, বাহারছড়া ঘাট দিয়ে চালান আসে। সীমান্তপথে আসা এসব ইয়াবা বড় বড় রাঘব বোয়াল ছড়িয়ে দেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলম বললেন, মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। তারা কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবান, টেকনাফের স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগসাজশে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।

সাগর ও নদীপথে আসা ইয়াবার একটি অংশ পাচার হয় টেকনাফ, হ্নিলা ও উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে। কড়া নজরদারীর কারণে সড়কপথে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি সমূদ্র ও নদী পথকেই বেছে নিয়েছে চোরাচালানীরা।

টেকনাফ বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লেপ্টেনেন্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদ বললেন, ইয়াবা পাচারের মূল রুট হিসেবে এতোদিন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকা বেশি ব্যবহার হয়েছে। যা বর্তমানে অনেকটা কম। এখন চোরাচালানীরা নতুন কিছু রুট ব্যবহার করছে।

বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূর দক্ষিণের সীতাপাহাড়ে মিয়ানমারের ট্রলারের মাধ্যমে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। সাগরপথে মাছ ধরার বড় ট্রলারে করে এসব চালান সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে নারায়ণগঞ্জে আসে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশের খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে রয়েছে তালিকাভুক্ত ৭শ’ ইয়াবা পাচারকারী। তারমধ্যে মহেশখালীর ৭, বান্দরবানের ১৫ জন ছাড়া বাকি পাচারকারী সবাই টেকনাফের বাসিন্দা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বললেন, কিছু বড় ব্যবসায়ী আছে, যাদের নাম রয়েছে ইয়াবা পাচারকারীর তালিকায়। কিন্তু কখনো তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা যায় না। যাদের থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়, তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেও বড় বড় ব্যবসায়ীর নাম থেকে যায় আড়ালে। তাই এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

দেশে প্রায় ২৫ লাখ ইয়াবাসেবী রয়েছে। সে হিসাবে দিনে প্রায় ৫০ লাখ ইয়াবার বাজার তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে ৫টি সংস্থা। তবে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালদের ধরতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সহায়তা চায় সাধারণ মানুষ। আরটিভির সংবাদ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আইনের ফাঁদে আটকে আছেন খালেদা জিয়া: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগমবিস্তারিত পড়ুন

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেবিস্তারিত পড়ুন

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

  • একে একে মারা গেলেন পরিবারের ৬ সদস্যই
  • বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ
  • ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল
  • সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
  • বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকতে পারে টানা ৩ দিন
  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
  • সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।