বিনা বিচারে বন্দি : পাঁচজনকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট
বিনা বিচারে এক যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি থাকা পাঁচজনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এইচ নুরুল হুদা জায়গিরদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন রাসেল শেখ, মোহাম্মদ পারভেজ, মাসুদ, গারো তরুণ লিটন ও বাবু। এই সাতজনের মধ্যে দুজন ১১ বছর, দুজন ১২ বছর ও তিনজন ১৩ বছর ধরে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া বিনা বিচারে কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি সাইদুর রহমান ও রাজীব হোসেনকে জামিন না দিয়ে তাদের মামলা তিম মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নথিপত্রে দেখা যায়, কাফরুল থানায় হওয়া এক অস্ত্র মামলায় ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কুষ্টিয়ার রাসেল শেখ কাশিমপুর কারাগারে আছেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাড্ডার আদর্শনগরের সাইদুর রহমান কারাগারে আছেন। ২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় হওয়া একটি হত্যা মামলায় কেরানীগঞ্জের ইমানদীপুরের রাজীব হোসেন ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। ২০০৪ সালে কোতোয়ালি থানায় করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের এক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈতলার মো. পারভেজ ওই বছরের ২ জুলাই থেকে কারাগারে আছেন।
২০০৩ সালে শ্যামপুর থানায় করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে মতিঝিলের মাসুদ কারাগারে আছেন। নেত্রকোনার গারো তরুণ লিটন চাম্বুগং উত্তরা থানায় করা এক হত্যা মামলায় ২০০৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। আর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুরের বোর্ডবাজারের বাবু কাশিমপুর কারাগারে আছেন। আইনজীবী সূত্র বলেছে, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক যুগের বেশি সময় ধরে বিনা বিচারে সাত বন্দি কারাগারে আছেন, এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে।
এ প্রতিবেদন গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বেহেশতী মারজান। সে দিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই সাতজনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। পাশাপাশি মামলাগুলোর নথি তলবের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে কারাগারে থাকা সাত বন্দিকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনকে জামিন দেন আর দুই মামলা নিষ্পত্তির আদেশ দেন। আদালতে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী বেহেশতী মারজান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন
কোকেনের সবচেয়ে বড় চালানে জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিএনসি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর দেশে কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দের ঘটনায়বিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন