সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মুসলিম পরিবারের বর্ষাকে যে কারণে দেবীর মর্যাদা দিচ্ছে ভারত

ভারতের দাদরি থেকে কালনা কত দূর? কিলোমিটারের হিসাব যাই বলুক, বাস্তবে দুই গোলার্ধ্বে পড়ে আছে মানুষের মন। কালনা সত্যি করেছে কবি নজরুলের প্রশ্ন, ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম, জিজ্ঞাসে কোন জন।’ মুসলিম ঘরের মেয়ে এবারের পুজায় কুমারী হবে কালনায়। কেউ আঁতকে ওঠেনি। শুধু মেনে নেওয়া নয়, ধন্য ধন্য করছেন কালনার মানুষ। আর বালিকার পরিবার বিভোর মেয়ের দেবী রূপের কল্পনায়। ভগবানের আশীর্বাদ বলেই তাঁরা মনে করছেন নিজেদের মেয়ের এই মর্যাদায়। পূজা আর দুই দিন পর। বইয়ের পাতা ছেড়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা খাতুন এখন মায়ের কাছে শিখতে চাইছে পূজার সময় তাঁর করণীয় সম্পর্কে।

মা ফিরোজা বিবি পড়েছেন বিড়ম্বনায়। পূজার নিয়মকানুন কিছুই জানেন না। কখনও কাছে থেকে দেখাও হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি কি ছাই, এ সব জানি? ঘুরতে-ফিরতে জিজ্ঞাসা করছে, মা কেমন করে আমার পুজো হবে? আমাকে কি করতে হবে? যতটা জানি, তাই বলছি। কখনও প্রতিবেশী কারও কাছে জেনে বলছি। খুশিতে আর ধরে না আমার মেয়েটার।’ তাকে কুমারী পূজার প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন কালনার কাঁসারিপাড়ার এক সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ষষ্ঠী মল্লিক। পেশায় চিকিৎসক তিনি। ওই সেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে যে বারোয়ারি পুজো হয়, তাতেও কুমারী হিসেবে ষষ্ঠীবাবু বেছে নিয়েছিলেন বর্ষা খাতুনকে।

কুমারী পূজার জন্য ব্রাক্ষ্মণ কন্যাকে বেছে নেওয়াই প্রচলিত রেওয়াজ। তাহলে কোন সাহসে মুসলিম ঘরের মেয়েকে বাছলেন ষষ্ঠীবাবু? সমাজের চোখরাঙানির কথা ভাবেননি? হাসেন সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি বলেন, ‘ধর্ম আলাদা হোক, ভগবান তো একই। সমাজ যেভাবে ভেঙেচুরে যাচ্ছে, তাতে আর যাই হোক, মানুষের মঙ্গল হবে না। সোজা পথের দিশা দেখাতে হলে এটা একটা পথ মাত্র। পরস্পরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে বর্ষাকে মাতৃরূপে পুজো করবো বলে ঠিক করি।’ বর্ষাকে তিনি প্রথম দেখেন সেবা প্রতিষ্ঠানের দাতব্য চিকিৎসালয়ে।

মুসলিম ঘরের বধূ ফিরোজা বিবি বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসা করাতে ডাক্তারবাবুর কাছে যেতাম। তিনিই আমার মেয়েকে পূজা করার প্রস্তাব দেন। আমি তো প্রথমে ভেবেই পাইনি, কি করবো। ওর বাবাকে বলি। তিনি বলেন, দাদাকে জিজ্ঞাসা কর। ভাসুরকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি এক কথায় রাজি হন।’ হ্যাঁ, ধর্মের গোঁড়ামি আচ্ছন্ন করেনি বর্ষার জেঠু তাহের হোসেনকে। তিনি বলেন, ‘শুনেই বলেছিলাম, খুবই ভালো প্রস্তাব। ধর্মে ধর্মে তো কোনো ভেদ নেই। তাই সম্মতি দিয়েছিলাম।’ সমাজের চোখরাঙানোর কথা ভাবেননি তাহের কিংবা তাঁর ভাই আমেদ হোসেনও।

দুর্গাপুজোর আয়োজক ষষ্ঠী মল্লিক ও রোজ নামাজ পড়তে অভ্যস্ত তাহের-আমেদরা কোথাও যেন এক হয়ে গিয়েছেন। উভয়ের কাছেই ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নেই।’ কালনার পরিবেশটাই এমন। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলচন্দ্র বাড়ুই বলেন, ‘দেশে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে এর চেয়ে ভালো উদ্যোগ আর হয় না।’
সূত্র : এইসময়

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী

মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন

ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস

ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন

গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন

  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৪ জিতলেন ক্রিস্টিনা পিসকোভা
  • দুই নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • পরোক্ষ ধূমপান থে‌কে নারী‌দের সুরক্ষা চায় ‘নারী মৈত্রী’
  • মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের নীলা
  • মন্ত্রণালয়ের নামে ‘মহিলা’ বদলে দেয়া হচ্ছে ‘নারী’