মোবাইলে খোশগল্পে মেতেছিল মা। সেই সময় খাবার চেয়ে মাকে বারবার বিরক্ত করেছিল তিন বছরের ছোট্ট খোকন। শেষমেশ খোকনকে ঘরে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে চিরদিনের মতো খাবার চাওয়া বন্ধ করে দিল মা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনার নয় নম্বর ওয়ার্ডের রামগঞ্জ গ্রামে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে গোটা চন্দ্রকোনা শহরে। অভিযোগ পেয়ে ঘাতক মা-কে গ্রেপ্তার করেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মায়ের নাম টুম্পা ঘোষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে টুম্পা ঘোষ নামে ওই বছর ৩০-এর মহিলা মোবাইলে জমিয়ে কথা বলছিল। ওই সময়ই তার বছর তিনেকের ছেলে খোকন খাবার চেয়েছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান।

খাবার না পেয়ে একসময় কাঁদতে শুরু করে দেয় ছোট্ট খোকন। ক্ষুব্ধ বিরক্ত টুম্পা দেবী তাকে মারতে মারতে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তার গলা টিপে চিরদিনের মতো খাবার চাওয়া বন্ধ করে দেয় টুম্পা দেবী। প্রতিবেশীরা জানান, কান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের মোবাইলে কথা বলা শুরু করে দেয় ওই মহিলা। কথা বলা শেষে একসময় ঘরে গিয়ে খোকনকে ডাকতে শুরু করে। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। প্রতিবেশীরই শিশুটিকে চন্দ্রকোনা হাসপাতালে গিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনা চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায়ই যে কোনও অজুহাতে বাচ্চাদের বেধড়ক মারধর করে ওই মহিলা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিরক্ত হয়ে গলা টিপে খুনই করা হয়েছে শিশুটিকে। মহিলার স্বামী গৌতম ঘোষ দিনমজুর। সারাদিন বাইরে কাটান। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন গৌতমবাবু। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। গৌতমবাবুর দুই ছেলে। খোকনই ছোট। গৌতমবাবুর বাবা শশাঙ্ক ঘোষ নাতিকে খুনের অভিযোগ করেছন চন্দ্রকোনা থানায়। পুলিশ অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ।