সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

রাত হলেও সেজে বের হতে হয়, না হলে খদ্দেরের চোখে লাগে না (এক পতিতার গল্প)

বাংলা অভিধানে লালবাতির এলাকা নামে বিশেষ একটা জায়গা আছে। মানুষ টাকার বিনিময়ে জৈবিক চাহিদা মেটাতে যায় সেখানে। আর কেউ পেট বাঁচাতে নামে সেই কাজে।

আমি, আবু রুবাইয়া। এই গল্পটি লিখার জন্য আন্তরিক ভাবে খুবি দুঃখিত।

যাকে খাটি বাংলায় পতিতালয় বলে। তন্নি (মানুষের দেয়া নাম) মেয়েটি কদিন হল অসুখ থেকে উঠেছে। কাজে যেতে পারছে না। কাজের জন্য রাতে বের হতে হয়। বৈরী আবহাওয়া, খদ্দের পাওয়া যায়না। অসুখের জন্য কিছু টাকা ঋণ ও করতে হয়েছে তাকে ঋতুর কাছ থেকে। তন্নি তার বান্ধবী সেও একই কাজ করে।

যেভাবেই হোক ঋণের টাকা আগে শোধ করতে হবে। এ পথে এসেছে আজ প্রায় দুই বছর। পাড়া প্রতিবেশি মামা নিয়ে এসেছে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে। (মা বাবার অসুখ তান্নি কে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে) সেদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেও কাজে বের হয় তন্নি। রাত হলেও সেজে বের হতে হয়, না হলে খদ্দেরের চোখে লাগে না। ভালো সাজ দিতে পারলে রেট টাও বেশি পাওয়া যায়।

দালাল পুলিশ নিয়ে যায় কাজের অর্ধেকের বেশি টাকা। পথে পথে ঘুরতে হয়, বিশেষ কিছু জায়গা আছে কাস্টমাররা সেখানে আসে। সন্ধ্যা থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, তাই আজ মানুষ কম। তবুও যাদের অনেক ক্ষিধা ঠিকই তারা আসবে, তন্নির ও পেট বাঁচাতে হবে, এ ছাড়া তার অন্য কোন উপায় নেই। কয়েকজনের সাথে কথা বলছে, কিন্তু দর দামে মিলছে না।

রাত প্রায় অনেক হয়ে গেছে।গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও বাড়ছে। রাস্তা পার হবে, ঐ দিক টাই কিছু লোক দেখা যাচ্ছে। রাস্তাটা পার হওয়া টা ও অনেক কঠিন। লোক গুলি চলে যাচ্ছে তাই দ্রুত যেতে হবে, দুদিক না দেখেই দৌড় দিল তন্নি, কিন্তু রাস্তাটা আর পার হতে পারলো না।

একটি জীবন ধ্বংস কারি হিংস্র ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায় তন্নি কে। আশপাশের লোকজন জড় হয় সেখানে। লালবাতি এলাকায় খবর পৌছে যায় তন্নি এক্সিডেন্ট করেছে।

সেখানে পুলিশ আসে, পুলিশ দেখে মানুষ জন সরে পড়ে। তখনো দেহে প্রান ছিল তন্নির। পুলিশ হাসপাতালেয় কথা বলে নিয়ে যায় তন্নিকে। রাত গড়িয়ে সকাল হয়, বৃষ্টির ভাব টা আজ কেটে গেছে। ঝকঝকে রোদ। সেই চির চেনা রাস্তা, বড় বড় গাড়ি শতশত মানুষ।

রাতে এখানে কিছু হয়ে ছিলো বুঝারই উপায় নেই। কয়েক জন মানুষ কয়েকটা হাসপাতালে তন্নির খোঁজ করেছিল। কিন্তু তন্নি নামের কোন রোগী সেখানে ভর্তি হয় নি। থানায় ও গিয়েছিল, তারাও কিছু জানে না।

মন্তব্যঃ একটি তন্নি আজ রাতের অন্ধকারে গায়েব হয়ে গেল।

এভাবে হয়তো প্রতিদিন নতুন করে গায়েব হয়ে যাচ্ছে অন্য কোন তন্নির জীবন। কিছু কিছু মানুষ চিরকাল অন্ধকারে থেকে যায়। পরিশেষে বলতে চাই, জীবন বড়ই কঠিন যা একজন মানুষকে সব কিছু করতেই বাধ্য করে। এর জন্য আমরাই দায়ী। (গল্প টি সম্পূর্ণ কাল্পিনীক)

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক মা সুফিয়া বেগম। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়েবিস্তারিত পড়ুন

ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন

কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য

ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রীদের মধ্যে হিনা খানের সাজপোশাক নিয়ে চর্চা লেগেইবিস্তারিত পড়ুন

  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী
  • মৌলানা পাস দিয়েছিলেন তারেক মাসুদ
  • আজ শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর, আয়োজন জুড়ে যা যা থাকছে
  • অভিনেতা ডিপজল দেশে ফিরবেন বৃহস্পতিবার: কি অবস্থায় আছেন তিনি !
  • ড. ইউনূস ফ্রান্সে সম্মাননা নাগরিকত্ব পেলেন
  • সুপারস্টার মেসিকে দেখতে চাকরি বিসর্জন দিলেন এক মেসিভক্ত !
  • দুই হাতে লেখে যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা !
  • বাংলাদেশপ্রেমী ফাদার মারিনোর শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না !
  • বন্ধু ফাদার মারিনো রিগন আর নেই !
  • স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
  • ‘সন্তানকে আগুনে ছুড়ে আমাকে ধর্ষণ করে সেনারা’