‘রোয়ানু’র আঘাতে মা-ছেলের ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় গাছচাপায় প্রাণ গেল ঘুমন্ত মা ও ছেলের।
শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঞ্জল সলিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলো- মা কাজল বেগম (৫০) ওই এলাকার মো. রাফিকের স্ত্রী ও ছেলে মো. বাবু (১০)।
কালাপানিয়া লোকমানগুনা জঞ্জল সলিমপুর সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ জানান, ভোররাতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গাছচাপায় ঘুমন্ত মা ও ছেলের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।
জঞ্জল সলিমপুর ছিন্নমূল সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের সেক্রেটারি মশিউর জানান, রাত ১০টার দিকে ওই পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
পরে রাত ১টার দিকে তারা আবার নিজেদের ঘরে ফিরে যায়। এর পর ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আঘাত হানলে একটি গাছ রাফিকের কাঁচা ঘরে পড়ে। এ সময় ঘুমিয় থাকা মা ও ছেলে ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান মশিউর। এদিকে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশে উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। শনিবার দুপুরের মধ্যেই এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূল অতিক্রম করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মূলত শুক্রবার মাঝরাতে উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে তখন থেকে উপকূল অঞ্চলসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পালিয়ে আসা ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে ফেরত পাঠালো বিজিবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারদলীয় বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘাতবিস্তারিত পড়ুন
যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
চট্টগ্রাম বিভাগে টানা দুই দিন এবং সিলেট বিভাগে টানা তিনবিস্তারিত পড়ুন
বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্যবিস্তারিত পড়ুন