রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

শরীরে ট্যাটু আঁকাবেন? ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে ট্যাটু আঁকানোর শাস্তি…..

উন্নত বিশ্বে শরীরে ট্যাটু করা আজকাল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এটি আজকাল কার সমাজে একটি সাধারন ঘটনা। মিডিয়ার কল্যাণে এই বিদেশী সংস্কৃতি আমাদের দেশেও প্রবেশ করেছে। তাই মুক্তমঞ্চ.কম খুঁজে বের করেছে ট্যাটু নিয়ে একটি প্রতিবেদনঃ

ট্যাটুর উৎপত্তি ও বিকাশঃ

প্রচলিত এক লোককাহিনীতে বলা হয়, চীন দেশের মহিলাদেরকে কুৎসিত দেখানোর জন্য এবং বার্মার শিকার সন্ধানি রাজাদের হাত থেকে তাঁদেরকে রক্ষা করার জন্যই ঐ ট্যাটু আঁকা হতো৷ তবে ট্যাটু আঁকার সৌন্দর্য এবং এর অসুন্দর দিক নিয়ে মতভেদ রয়েছে অনেকের মধ্যেই তবে অনেকেই মনে করেন, ট্যাটু আঁকার বিষয়টি ছিল আসলে নারীত্ব এবং তাঁর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে৷

ট্যাটু আজকের ইউরোপ আমেরিকায় তো এটি একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার । বেশ কয়েক বছর ধরে গায়ে উল্কি আঁকা ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গেছে৷ ছাত্র-ছাত্রী, গায়ক-গায়িকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দেহও উল্কির নানা রঙে রঙিন হয়েছে৷ জার্মানিতে চালিত একটি জরিপে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের পাঁচজনের মধ্যে একজনের গায়ে উল্কি আঁকা রয়েছে৷

ট্যাটুর উপকারিতাঃ

শরীরে ট্যাটু আঁকানো নিছক একটা ভালো লাগা। এর বৈজ্ঞানিক কোন উপকারিতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ট্যাটু ধারনে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিঃ

পরিচ্ছন্নতা সঠিকভাবে মানা না হলে, ব্যবহার করা পুরোনো নিডল ও অন্যান্য উপকরণ থেকে এইডস, হেপাটাইটিস, টিউবারকিউলোসিস, টিটেনাসের মতো রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে৷ আপনার যদি কোনও ধাতুতে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে ট্যাটু করানোর আগে একটু ভাবুন৷ কারণ স্থায়িত্ব ধরে রাখার জন্য ট্যাটুর রঙ ধাতু থেকেই তৈরি করা হয়৷শরীরের খুব সংবেদনশীল জায়গায় যেমন চোখের উপর, পেটে, কানের লতিতে ট্যাটু করানো সবসময়ই রিস্কের৷ কারণ এসব জায়গায় রক্ত সঞ্চালন খুব কম থাকে৷ফলে ট্যাটু করার সময় কোনো রকম ক্ষত তৈরি হলে তা সারানো সত্যি কঠিন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্যাটুর রং-ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়৷

এই রসায়নিক পদার্থ চামড়ার একেবারে ভিতর থেকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে৷ আর যেহেতু এই উল্কি সারাজীবন শরীরে থাকবে তাই এই রসায়নিক পর্দাথও সারাজীবন দেহে থেকে যাবে৷ এর ফলে বিভিন্ন ধরণের অসুখ এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে৷
আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন

ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে ট্যাটু আঁকানোর শাস্তিঃ

ইসলামের দৃষ্টিতে ট্যাটু করা বা শরীরের কোন অংশের বিকৃতি সাধন করা হারাম। এমনও জানা যায় যে, শরীরের যে অঙ্গের বিকৃতি সাধন করা হয়েছে সেটা যতক্ষন পর্যন্ত আগের জায়গায় ফিরে না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত সে দোযকের আগুনে জ্বলবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। এবং শরীরের উক্ত বিকৃত অংশ অনেক কঠিন আযাবের মাধ্যমে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে। উক্ত হাদিস দুটির ব্যাখায় বলা হয়েছে-মেয়েদের নাক,কান ফোঁড়ানো থেকে পরচুলা (উইগ) ব্যাবহার করা না যায়েজ। এমনকি টাক মাথায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাটাও গুনাহের কাজ। বিকৃতি সাধন না হলেও শরীরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কোন রকম কৃত্রিম রং ও অর্নামেন্ট ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে (অনেক আলেমের মতে এটা শুধু পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য-মেয়েদের জন্য নয় অথচ ইসলামে লৈঙ্গিক কোন বিবেদ করা যায় না, ইসলামের সব বিধান নারী-পুরুষ সম ভাবে সমান প্রযোজ্য) তাই বলা যায় অলংকার ও মেহেদী পরাও নিষিদ্ধ। তবে অনেকে মনে করেন -রাসুল (সাঃ) দাঁড়িতে ও মাথার চুলে মেহেদী দিতেন।

ট্যাটু তোলা এবং আঁকানোর আগে একবার ভাবুনঃ

শরীর থেকে ট্যাটু যদি পুরোপুরি মুছে ফেলতে চান, তাহলে আপনাকে প্লাস্টিক সার্জন বা ডার্মাটোলজিস্টের কাছে যেতে হবে৷ ট্যাটু তোলার পদ্ধতিতে ব্যথা লাগার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনই পুরোটা বেশ ব্যয়বহুলও তাই পার্মানেন্ট ট্যাটু করানোর আগেই ভাবুন৷

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে

আমাদের রান্নাঘরে খাবার তৈরির অনেক পণ্য  থাকে। সেই সবে এমনবিস্তারিত পড়ুন

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন

রসুন আমাদের প্রতিদিনের রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুধুমাত্র খাবারের স্বাদবিস্তারিত পড়ুন

  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?
  • মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৪ জিতলেন ক্রিস্টিনা পিসকোভা
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • ডিম সেদ্ধ নাকি ভাজা, কোন ভাবে খেলে মিলবে বেশি পুষ্টি
  • ছুটিতে ঘুরে আসুন ‘শ্যামল বাংলা’