শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন শত বছরের পুরোনো মসজিদ (ভিডিওসহ)
পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা শরীয়তপুরের শত শত পরিবার। শুক্রবার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় শত বছরের পুরনো একটি মসজিদসহ বহু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন নদীতীরের মানুষ। এ অবস্থায় সরকারি খাস জমি বরাদ্দের দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। অবশ্য, সরকারি সহায়তার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার জুমা’র নামাজের পরপরই এলাকাবাসীর চোখের সামনেই পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায় শরীয়তপুরের জাজিরার খালাসিকান্দির শত বছরের পুরনো জামে মসজিদটি। এরপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নেন অন্যত্র।
শুধু এই এলাকাই নয়, জেলার জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুম শুরুর পর আগ্রাসী হয়ে উঠে উত্তাল পদ্মা। দিনদিন ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় বিলীন হচ্ছে তীর সংলগ্ন ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। গত একমাসে ভিটেমাটি হারিয়ে ইতোমধ্যে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার জানালেও ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে, যোগাযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
ভাঙন রোধে, ২০১২ সালে শরীয়তপুরের আট দশমিক ৯ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে দুশো’ ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ের সুরেশ্বর নামে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর গত চারবছরে অন্তত কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হলেও প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পালিয়ে আসা ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে ফেরত পাঠালো বিজিবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারদলীয় বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘাতবিস্তারিত পড়ুন
যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
চট্টগ্রাম বিভাগে টানা দুই দিন এবং সিলেট বিভাগে টানা তিনবিস্তারিত পড়ুন
বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্যবিস্তারিত পড়ুন