সোমবার, মে ৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

শিক্ষায় এগিয়ে মেয়েরা

নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় ছেলেদেরকেও ক্রমাগত পেছেন ফেলছে। টেলিভিশনের পর্দার করিৎকর্মা, সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ‘মিনা’ যেন বাস্তবের লাখ লাখ মিনা হয়ে আজ বাংলদেশের শহর-গ্রামে নিজেদের মেধা আর প্রতিভার জানান দিয়ে বেড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের বাস্তবের মিনা’রা একেকজন সূর্যকন্যা হয়ে ধীরে, কিন্তু ক্রমশ দূর করে চলেছেন সমাজের অন্ধকার গলিপথের নানা ভয়, শঙ্কা; আর সৃষ্টি করে চলেছেন সম্ভাবনার নতুন সব পথ। শিক্ষাসহ সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদন সাক্ষী দিচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগামী মেয়েদের বিজয়যাত্রার।

প্রতিবেদনটি বলছে, এক দশক আগে প্রতি ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জনের মধ্যে। এখন তা ৫১ ছাড়িয়েছে। প্রাথমিকে ছেলেদের শতকরা হার এখন ৪৯ ভাগ। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও তো আরও চমক। সেখানে বর্তমানে পাঠগ্রহণকারী মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫৩ ভাগ। আর ছেলে ৪৭ ভাগ।

কেবল প্রাথমিক আর মাধ্যমিক নয়, উচ্চশিক্ষা স্তরেও মেয়েরা এখন ছেলেদের ছুঁই ছুঁই করছে, শতকরা ৪৫ ভাগ। ব্যানবেইসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘শুধু প্রাথমিক আর মাধ্যমিকে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও বিভিন্ন বিভাগে প্রথম হচ্ছেন মেয়েরা। এখন সময় মেয়েদের। বিশ্বে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থীরা উদাহরণ সৃষ্টি করছে।’

জানতে চাইলে ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা যখন স্কুলে যাইতাম তখন হাতে গোনা মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। মিনা কার্টুনও এখন সময়োপযোগী নয়। কারণ শুধু সংখ্যায় নয়, পরীক্ষার ফলাফলেও ছেলেদেরকে পেছনে ফেলছে মেয়েরা।’

ব্যানবেইস প্রদত্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, তার মধ্যে ৫১ দশমিক ১ শতাংশ ছাত্রী। বাকিরা ছাত্র। সংখ্যার হিসাবে প্রাথমিকে এখন এক কোটি ১০ লাখ চার হাজার ২০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করছে। আর ছাত্র পড়ছে এক কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ৯৫৩ জন।

মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীর সংখ্যা আরও বেশি; ৫৩ শতাংশ। আর ছাত্র ৪৭ শতাংশ। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারেও ছাত্রীরা প্রতি বছর এগিয়ে চলছে। ২০০৯ সালে যেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, সেখানে ২০১৬ সালের পরীক্ষায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি পাস করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ২০ ও ছাত্রীদের ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অবশ্য গত কয়েক বছরে মোট পাসের হারও বাড়ছে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষায় মেয়েরা আর পশ্চাদমুখি নয়। তারা এখন অগ্রগামী। প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও মেয়েরা এখন ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। উচ্চ শিক্ষায়ও এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। বিশ্বের অনেক দেশ এমনটা পারেনি।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আইনের ফাঁদে আটকে আছেন খালেদা জিয়া: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগমবিস্তারিত পড়ুন

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেবিস্তারিত পড়ুন

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

  • একে একে মারা গেলেন পরিবারের ৬ সদস্যই
  • বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ
  • ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল
  • সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
  • বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকতে পারে টানা ৩ দিন
  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
  • সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।