পাবনার সাঁথিয়ায় তাজবীনা খাতুন (২৮) নামের এক নারীর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের বাউসগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাজবীনাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী আলমগীরসহ আরো দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে ফরিদপুর উপজেলার শাকপালা গ্রামের আবদুল ওহাব প্রামাণিকের মেয়ে তাজবীনার সঙ্গে সাঁথিয়া উপজেলার বাউসগাড়ী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আলমগীরের বিয়ে হয়। এদের ঘরে দুটি সন্তানও আছে। বছর খানেক আগে আলমগীর নিজ গ্রামে স্ত্রী তাজবীনার বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এরই একপর্যায়ে শনিবার ভোররাতে আলমগীর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাই হামিদ ও অন্যদের সহায়তায় তাজবীনার গলা টিপে ধরেন। এরপর তার শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, তাজবীনার স্বামী আলমগীর ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাই হামিদকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তাজবীনার ভাই সবুজ হোসেন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে।