সিলেটঃ ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অভিযান: এখনো সোয়াতের জন্য অপেক্ষা !
সিলেট মহানগরের শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে মূল অভিযান এখনও শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বাহিনীটির বিশেষ দল সোয়াতের সদস্যরা ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছলেই তারা ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করবেন।
শুক্রবার ভোরে শহর থেকে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরের পাঁচ তলার ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে আছেন সিলেট মহানগর পুলিশের একটি দল।
সকালে সাংবাদিকরা এই খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে যায়। তবে নিরাপত্তার কারণে তাদেরকে বাড়ির কাছে যেতে দেয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী ঢাকাটাইমসকে জানান, তারা বাড়িটি থেকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই পুলিশের গুলি এবং বাড়ির ভেতর থেকে ছোড়া গ্রেনেডের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ওস্তার আলী নামে একজনের বাড়ি এটি। ওই বাড়িটির প্রতি ফ্লোরে কতগুলো ফ্ল্যাট আছে এবং সেখানে কতগুলো পরিবার বসবাস করে, অন্য পরিবারগুলোর কী অবস্থা-এসব বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে জনবহুল এই এলাকায় ওই বাড়ির আশেপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রোকনউদ্দীন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে সোয়াতের একটি দল রওয়ানা হয়েছে। তারা সিলেট পৌঁছলেই বাড়িটিতে মূল অভিযান শুরু হবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে আটক সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গির কাছ থেকে তথ্য পেয়ে এই আস্তানাটার কথা জেনেছেন তারা।
গত ৭ মার্চ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি এবং ১৫ মার্চ একই জেলার সীতাকুণ্ডে দুটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। মিরসরাই এবং সীতাকুণ্ডের একটি আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সীতাকুণ্ডের এই আস্তানায় এক শিশুসহ সন্দেহভাজন চার জঙ্গির মৃত্যু হয়।
আর সীতাকুণ্ডের অন্য একটি আস্তানা থেকে শিশুসহ এক দম্পতি আটক হয়েছেন, যাদের মধ্যে এক নারীর কোমরে বোমা বাঁধা ছিল। তিনি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের চেষ্টা করছিলেন।
২০ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগরীর আরও দুটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশি, দুই পুলিশসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপর গত গত আট মাসে রাজধানী, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রামসহ ১৫টি সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের দুটি বাড়িতে কিছু পাওয়া না গেলেও বাকি প্রায় প্রতিটি আস্তানাতেই অভিযানে সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এদের সংখ্যা অন্তত শিশুসহ ৩৫ বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতায় নেতৃত্ব দানকারী হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরী, সারোয়ার জাহান এবং হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামও রয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ঢাকার আশকোনায় একজন এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চারজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবার আজিমপুরে একজন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দুপুরে দেশে আসছে
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ বৃহস্পতিবারবিস্তারিত পড়ুন
ভয়ংকর অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে: ডিবি প্রধান
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যানবিস্তারিত পড়ুন
এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের পথে
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ২৩বিস্তারিত পড়ুন