রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

স্ত্রী-শাশুড়ি হত্যার লোমহর্ষক কাহিনি বললো কাউসার

লাভলী প্রথম বিয়ের খবরটি গোপন করে ছয়মাস আগে কাউসারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সম্প্রতি কাউসারের সন্দেহ ছিল আগের স্বামীর সঙ্গে এখনো লাভলীর কথা হয় এবং গোপন সম্পর্কও আছে। তাদের দুইজনের মধ্যে পরকীয়া প্রেম রয়েছে। তাছাড়া লাভলী দেহ ব্যবসা করতো বলেও সন্দেহ ছিল কাউসারের।

শুক্রবার বাসায় শাশুড়ি এলে এসব নিয়ে প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। পরে রাতে পুনরায় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে প্রথমে লাভলীকে ঘরে থাকা রান্নার কাজে ব্যবহার করা বটি দিয়ে কোপ দেন কাউসার। বাধা দিতে এলে শাশুড়িকেও কোপান তিনি।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন কাউসার। এতে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় শনিবার দুপুরে শ্যালক মো. ইমদাদুল হক বাদী হয়ে ভগ্নিপতি কাউসারকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে বলেন, ‘ইমদাদুল হকের মামলায় কাউসারকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়।’

এদিকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মরদেহ দুটি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় দাফন করা হয়।

মামলার বাদী ইমদাদুল হক এজাহারে উল্লেখ করেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার পূর্ব বাদুরতলা গ্রামের চাঁন মিয়া হাওলাদারের মেয়ে লাভলী আক্তারকে একই থানার দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের সারোয়ারের ছেলে কাউসার ৬ মাস পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কাউসার তার স্ত্রী লাভলী আক্তারকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর ইউনিয়নের উত্তর কাঁচপুর গ্রামের খাইরুল বাশারের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এ দম্পতি একই সঙ্গে কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে কাজ করতেন।

গত শুক্রবার সকালে লাভলীর কাঁচপুরের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে তার ভাই ইমদাদুল হক, মা রাশেদা বেগম। পরে বিকেলে মা রাশেদা বেগমকে কাঁচপুরে বোনের বাসায় রেখে ইমদাদুল হক ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ছনটেকে তার বাসায় চলে যান। ওইদিনই রাত সোয়া ৯টার দিকে ইমদাদুল জানতে পারেন তার মা রাশেদা বেগম ও বোন লাভলী আক্তারকে ভগ্নিপতি কাউসার কুপিয়ে হত্যা করেছে।

ইমদাদুল হক আরো জানান, থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভগ্নিপতি কাউসার তার মা ও বোনকে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকার খায়রুল বাশারের ভাড়া বাড়িতে থেকে রক্তাক্ত মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- ঘাতক কাউসারের স্ত্রী লাভলী আক্তার (২৫) ও অপরজন তার শাশুড়ি রাশিদা বেগম (৪০)। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জামাতা কাউসার মিয়াকে (৩০) আটক ও তার কাছ থেকে রক্তমাখা ধারালো একটি বটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

নারায়ণগঞ্জে জেএমবির দুই সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অপতৎপরতা ও সহিংস ঘটনা সৃষ্টির সময়ে গ্রেফতার নিষিদ্ধবিস্তারিত পড়ুন

আড়াইহাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজালালের ভোট বর্জন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম, জাল ভোট, কেন্দ্রে এজেন্টবিস্তারিত পড়ুন

  • কাউন্সিলর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ 
  • দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন পাপ্পা গাজী
  • সন্ত্রাসী হামলায় আইনজীবী আহত
  • সোনারগাঁয়ে ভোটকেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
  • নারায়নগঞ্জে কলেজ ছাত্রী যৌন হয়রানি ও লাঞ্চনার শিকার
  • নারায়ণগঞ্জে শ্যালিকাকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, দুলাভাই গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জ ডিবির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
  • নারায়ণগঞ্জে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন
  • নর্দমার ভেতর পাঁচ বছর বয়সী শিশুর গলাকাটা লাশ!
  • সাত খুন: ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে বেঞ্চ নির্ধারণ
  • নারায়ণগঞ্জে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু
  • নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা