শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

‘অন্তর্জ্বালা থেকে সিনহার মনগড়া ও ভুতুড়ে কথা’

সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা থেকেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মনগড়া বই লিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক পূর্ব সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার প্রকাশিত হয়েছে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির বই ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি।’

বইটি কাদের বলেন, ‘তিনি সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কী পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন তা সবাই জানে। বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন আছে? ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক অন্তর্জ্বালা গড়ে উঠে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এখন বইতে যা লিখেছেন, তখন বলার সৎ সাহস একজন বিচারপতির কেন ছিলো না? এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরানো কথা নতুন করে বলছেন, যা খুশি তাই বলছেন। এটা হয়, এটা হতেই পারে। এ নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তিনি যদি সত্যই বলতেন, তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বললেন না কেন? সত্য কথা দেশের জনগণের মাঝে এসে বললেন না কেন? এখন বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা চাপছেন। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করতে হবে? এর যৌক্তিকতা নাই।’

বইটির চুম্বক অংশ

৬১০ পৃষ্ঠার এই বইটি অ্যামাজনের কিন্ডেল সংস্করণে বিক্রি হচ্ছে। বইয়ের চুম্বক অংশ অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে এসকে সিনহা দাবি করেন, ‘২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের কারণে বর্তমান সরকার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। ওই রায়ের মাধ্যমে তিনি বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে যাওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন।’

তিনি লিখেছেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য পূর্বশর্ত। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে দেশটির সংবিধানে গণতন্ত্রকে এর অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করাও এ সংবিধান নিশ্চিয়তা বিধান করে।’

সাবেক এই প্রধান বিচারপতি অভিযোগ করে বলেন, ‘২০১৭ সালের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেয়ার পর বর্তমান সরকার কর্তৃক আমাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং জোরপূর্বক দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়।’

এসকে সিনহা আরো বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রবণতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত ওই রায় ও পর্যবেক্ষণ দেশের নাগরিক, সুশীল সমাজের কাছে ভালোভাবে গৃহীত হয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্ব পায়।’

সাবেক এই বিচারপতি লেখেন, ‘কিন্তু এই রায় বিরুদ্ধে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের অন্যান্য মন্ত্রীরা বিষোদগার করতে থাকেন। আইনমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আমার সমালোচনা শুরু করেন’।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করা এস কে সিনহার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু কার্যকাল শেষ হওয়ার ৮১ দিন আগেই তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেবিস্তারিত পড়ুন

থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বার সভাপতির শপথ নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুববিস্তারিত পড়ুন

  • খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী
  • শ্রমিক অধিকার নিয়ে নালিশের নিষ্পত্তি নভেম্বরে: আইনমন্ত্রী 
  • বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩ নেতার পদোন্নতি
  • বিএনপি মানে খাইখাই, আ.লীগ মানেই দেই-দেই: প্রধানমন্ত্রী
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
  • গুরুতর আহত মমতা, হাসপাতালে ভর্তি
  • সুপ্রিম কোর্টে মারামারি ঘটনায় ৩ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন: হট্টগোল-মারামারিতে ভোট গণনা বন্ধ
  • সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
  • ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়’