শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

প্লিজ ভিডিও করো না, যা দেখার এমনি করো, তুমি এবার চলে যাও এবার আম্মু চলে আসবে–[ভিডিও সহ]

(গল্প যখন গল্প নয়
কিছু গল্পের মাঝে
সত্যি লোকিয়ে রয়)

:প্লিজ ভিডিও করো না, যা দেখার এমনি দেখ।
: অারে নাহ, ভিডিও না, একটা পিক তুলতেছি।
:না কোন পিক তুলবানা সুভন। কি করবা তুলে এগুলা?
: না এমনি দেখতেছি এভাবে কেমন অাসে ক্যামেরাই।
:না তুলবানা, ডিলিট করো।
: অাচ্ছা।
সোহানা ওয়াশরুমের টেপ ছেড়ে একটু সাবান লাগিয়ে পায়জামার দাগ তুলার চেষ্টা করতেছিল, ছোপ রক্তের দাগ।
কাপড়টা ফ্যানের বাতাসে শুকানোর অাগ পর্যন্ত এভাবেই থাকা ছাড়া অার কোন উপায় নেই। সুভন কোটি পতি বাবার দ্বিতীয় সন্তান। যেমন তার চেহারা, বডি ফিগার তেমন লম্বা। শহরের নাম করা এক প্রাইভেট ভার্সিটির ৩য় বর্ষের ছাত্র সুভন বন্ধুদের সাথে অাড্ডা, ফান, রাজনীতি, অার সুন্দরী মেয়েদের তার বাইকের পেছনের বসানো যার নিত্ত নৈমত্তিক কাজ। চেহারার মাধুর্যতা অার বাবার টাকা, যৌলস সুন্দরীদের ক্রাসের অন্যতম কারন সুভন। সেবার রমজানেরর ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেট গুলোতে যখন ভিড় লাগা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তখন সুন্দরী মেয়েদের অানাগুনায় ভরপুর শপিংমলগুলো। সুভন অার তার বন্ধুদের মার্কেটে অাগমনও বেড়ে গেছে। হঠাৎ সেদিন বিকেলবেলা রহমান শপিং মলের সামনে বন্ধুদের সাথে ফুচকা অার অাড্ডার ফাকে চেখ পড়লো এক মায়াবিনী অপ্সরী অপরুপা এক ললনার দিকে। মেয়েটি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছে সাথে একজন মহিলা অার একটা বাচ্চা মেয়ে। সুভন তার বন্ধুদের নিয়ে তাদের গতিবিধি লক্ষ করে পিছু নিলো। পুরো মার্কেট একসাথে পাশা পাশি কেনা কাটার ছল করে হালকা দুষ্টোমি চলতে থাকলো। কেনাকাটা শেষে মেয়েটি চলেযাওয়ার জন্য সি.এন.জি–তে উঠে বসে অাছে সি.এন.জি টা এই ছাড়লো বলে হঠাৎ কেও একজন হাতে একটি চিরকোট বাড়িয়ে দিল।
: কি এটা?
: নিন, প্লিজ।
ওমনি গাড়িটা ছেড়ে দিল।
: অাপনার অপেক্ষায় থাকবো……
কাগজটি পড়ে অাছে সুহানার পায়ের কাছে। হাতে নিয়ে খুলতেই সুভনের নামটি তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো সাথে তার কন্টাক্ট নাম্বার। বেনিটি ব্যাগের ছাইড পকেটটাই রেখে দিল নাম্বারটা। ঈদের কেনাকাটা দেখতে দেখতে অনেক রাত হয়ে গেল, ঘুমুতে যাওয়ার অাগে মনে পড়তে লাগলো ছেলেটির কথা। বিছানায় শুয়ে শুয়ে নাম্বারটা হাতে নিয়ে চিন্তা করতে লাগলো কি করবে, ছেলেটাকে ফোন দেবে কি দেবে না। অনেক্ষন মনের সাথে বুঝা পড়া করে মুঠোফোনে নাম্বারটা উঠিয়ে কল দিয়ে অাবার কি মনে করে কেটে দিল। সাথে সাথে কল ব্যাক, রিং বাজতে লাগলো।


: হ্যালো।
: ম্যানি ম্যানি থেংক্স।
: মনে হচ্ছে অাপনি খুব খুশি।
: অবশ্যই। অাপনার অপেক্ষায় ছিলাম। অামি জানতাম অাপনি ফোন দিবেন।
: তাই নাকি?
: হ্যা।
:তা কি বলবেন বলুন।
: অামি অাপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
: স্টপ স্টপ স্টপ। শুনুন মিষ্টার…..
: সুভন।
: শুনুন মিষ্টার সুভন, এসব ভালোবাসা টালোবাসা অামার এক দম পছন্দ না। কোন লাভ নেই। এসব অামার দ্বারা অসম্ভব।
: অাচ্ছা ভালোবাসা দিতে হবে না, বন্ধু হয়ে তো থাকতে পারি….
এভাবেই কথার পর কথা বন্ধুত্ব চলতে থাকলো। সুহানা গ্রামের সম্মানীত ব্যক্তির একমাত্র বড় মেয়ে তার বাবার দাপটের প্রভাবে অাজ পর্যন্ত কোন দিন কোন ছেলে তার ধারে কাছে ঘেষার সাহস পায়নি। এ বছর ফ্যাশান ডিজাইনে ২য় সেমিষ্টার চলছে সুহানার, পাশা পাশি কিছু শর্ট ফিল্মে মডেল হিসেবে কাজ শুরু করে দিয়েছে। যদিও পড়ালেখার চাপে বাসা থেকে এসব নিষেধ তবু তার একান্ত ইচ্ছায় কেও কোনদিন বাধা দেয় নি। সুভন অার সুহানার বন্ধুত্ব খুব বেশিদিন টিকে নি, কারন একটা সমবয়সি ছেলে অার একটা মেয়ে কখনো বন্ধু হয়ে থাকতে পারেনা একটা সময় তাদের মাঝে ভালোবাসার ফুল ফুটে, সুভন অার সুহনার বেলাতেও ভিন্ন কিছু ঘটলো না। শুরু হলো মধুমাখা সময়। নতুন নতুন গিফট, কেনা কাটা কসমেটিক্স, ফুসকা, কফিসপ, বি.এফ. সি, কে এফ. সি, বাইকে লংড্রাইভ, রাত জেগে কথা বলা ওফফ জীবনটাই স্বর্গ। সুহানার মনে শুধু একটি কথাই প্রতিধ্বনিত হয়। অারো অাগে কেন অাসো নি, বড় দেরি করে দেখা হলো হলো চেনা জানা অারো দিন গেল পেতে মনেরই ঠিকানা, জন্ম থেকেই হয়নি কেন তোমার অামার পরিচয়……। মেয়েরা একবার যদি কাওকে বিশ্বাস করে ভালোবাসে তবে তার জন্য দেহ মন প্রাণ উজার করে দিতে প্রস্তুত থাকে অার মনের বুকের ভেতরে মনের গহীনে তুমি ছাড়া অার কেহ নাই, অামার রূপের সকল অামার এই দেহের দখল তোমায় দিলাম তাই। সুহানার পৃথিবী এখন সুভন। সুহানাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল সুভন, সুহানা ১০০% এর মধ্যে ১১০% বিশ্বাস করতে শুরু করলো কেননা মেয়েদের অর্থাৎ প্রেমিকার মনে পুরো পুরি বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য এটা নিষ্ফল ঔষধ। সুহানা চিন্তা করে দেখলো এখন তার বাবা তাকে বিয়ে দেবে না অার এ সম্পর্কের কথা এখন জানালে ছেলের সম্পর্কে জিঙ্গাসা করলে ছাত্র বললে বাবা কোনদিন বিয়ে দেবে না যদিও ছেলের বাবার অঢেল সম্পত্তি কিন্তু সুহানার বাবার পছন্দ একটা অাত্নপ্রতিষ্ঠিত ছেলে তাছাড়া সুহানার স্টাডি কমপ্লিট করতে এখনো অনেক সময় বাকি। সব কিছু বিবেচনা করে সুহানা সুভনকে অাপাতত বিয়ের প্রস্তাব দিতে নিষেধ করলো সুভনওতো মনে মনে তাই চায়। সুভন তোমার তো এখনো পড়ালেখা কমপ্লিট হয়নি তাছাড়া অামারও সময় হয়নি, সময় হলে তোমাকে বলবো তখন অাব্বুকে বলে অামাকে তোমার কাছে নিয়ে যেও।

: অাচ্ছা জান, অামার পাখি। এখন একটু অাদর করো….
:ওমমমম
অামার তো অার ভালোলাগেনা… তোমাকে কবে কাছে পাবো.. অামার যে অার সহ্য হচ্ছেনা জানু। কাল দেখা করো।
: কালতো শুক্রবার
: অামি জানিনা কাল দেখা করো প্লিজ।
: বাড়ি থেকে কি বলে বের হবো? অামার লক্ষিসোনা বুঝার চেষ্টা করো।
: কোন বুঝাবুঝি নাই। তুমি অাসবা কাল।
ভালোবাসার অাবদার পূরন তো করতেই হয়। সুহানা বাসায় বান্দবীর কথা বলে বের হয়ে অাসলো। সুভনদের ছয়তলা বাড়ির নিচ তলার ফ্লাটটা এখনো খালি। ভাড়া হয়নি। বাড়ির সবাই অাজ একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে বেড়াতে চলে গেছে মকা মকা। পুরো বাড়ি সুভনের দখলে। সুভন জন্মনিরূধক বড়ি সহ সব কিছু অাগে থেকেই রেডি করে রেখেছিল। ভালোবাসার পূর্ণতা পেল অাজ। ভেজা কাপড় শুকিয়ে গেছে। সুহানা বিদায় নিলো তার বিশ্বাসের মনিকোটার মনের মানুষের কাছ থেকে। শুরু হলো সুহানার জীবনেন কালো অধ্যায়। দিনের পর দিন ভালোবাসার মানুষের মন রক্ষা করার জন্য অার কিছুটা তার অাবেগের যৌবনের তাড়নায় চলতে থাকলো এ অবৈধ প্রণয়। কিন্তু এক তরকারি অার কয়দিন? মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সুভনের। শুরু হলো সুহানাকে এভোয়েড করা, অল্প অল্প সামান্য করনে রাগা রাগি শুরু করে দিল সুহানার সাথে। ফেবুতে কয়েকবার নক করলে শুধু হুম উত্তর অাসে। সুহানার কিছু বললেই তার সাথে রাগারাগি ফোন অফ ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা সময় ধৈর্যের বাধ ভেঙে সুভনকেও কথা বলতে ছাড়লোনা। শুরু হলো দূরত্ব। অবশেষে একটা সময় দুজনার দুটি মন দু দিকে গেল চলে। কিন্তু সত্তি কি দুটি মন দু দিকে চলে গিয়েছিল? হ্যা গিয়েছিল ঠিকি কিন্তু দুটি নয় একটি। সুহানার মন তো সব সুভনকে সেই কবেই দিয়ে দিয়েছিল। তাই সুহানা এখন মৃত। কিন্তু না সুভনার নিশ্বাস এখনো বন্ধ হয়নি। বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বাসের দরজাটা মরে গেছে বেঁচে থাকার সম্বল সেই পবিত্র মনটা। সুহানা কি অাধো বেঁচে অাছে নাকি বেঁচে থেকেও মরে গেছে অামরা তা জানিনা,(কবি এখানে নিরব). কিন্তু সুভনের জীবনে ঈদ অাসে বার বার। দিনে দিনে তার উন্নতি হচ্ছে ধরছে রাঘব বোয়াল, প্রতিনিয়ত ফাঁদ পেতে চলেছে হাসি মাখা মিষ্টি দুষ্ট চেহারাটা নিয়ে। পাল্টে চলেছে তার বাইকের পেছনের ছিটের বালিকা গুলো। যারা তার বাইকে বিশ্বাসের দশ অাঙুল দিয়ে বুকে চেপে লং ড্রাইভে পাড়ি জমাচ্ছে। সুভন থামেনি, সুভনরা হয়তো কখনো থামবেও না। থেমে যাচ্ছে শুধু সেই ভালোবাসার বিশ্বাসটা। বেঁচে থাকার সম্বলটা। যা সুভনরা কখনো বুঝবেনা, অার যারা বুঝে তাদের কাছে সুহানারা কখনো ধরা দেয় না।

….প্রেম করুন আর যায় করুন শেষ কাজ টা নিজের কাছে রাখুন,,,বিবাহ ছাড়া সেটা দিবেন না,প্রেমিকরা চাইবেই,,চোরে যেমন সোনার দোকানে উতপেতে থাকে চুরির জন্য, এবং মালিক তা রক্ষ কররতে,সিকিউরিটি নেয় সর্বোচ্চ,,আপনিও তেমন নিন,,,,একটা কাস্টমার না হয় কম পেলেন ফেসবুক থেকে নেওয়া।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও

লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ
  • কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী