যে কারণে ১৭৬ বছর ধরে সংরক্ষিত রয়েছে এই মস্তিষ্ক!
প্রাচীন কালে মৃতদেহ সংরক্ষণের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে মমির কথা। কিন্তু শুধুমাত্র মস্তিষ্ক সংরক্ষণের কথা বিশেষ একটা শোনা যায় না।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পর্তুগাল বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৪১ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার দিয়েগো আলভেজের মাথা।
১৮১০ সালে গ্যালিসিয়াতে দিয়েগো আলভেজের জন্ম। কর্মসূত্রে তিনি লিসবনে পাড়ি দিয়েছিলেন। লিসবনে পা রাখতেই উপলব্ধি করেন, শরীর খাটিয়ে কাজ করে বেশি টাকা আয় করা যাবে না। এর পরেই অপরাধ জগতে পা রাখেন এই সিরিয়াল কিলার।
গ্রামগঞ্জে গিয়ে রীতিমতো লুঠতরাজ চালাতেন দিয়েগো আলভেজ। মূলত গরীব চাষিরা ছিল তাঁর নিশানা। লুঠ করে তাদের নৃশংস ভাবে হত্যা করে কাছাকাছি সেতু থেকে পানিতে ফেলে দিতেন তিনি। এই একই কাজের পুনরাবৃত্তি কমপক্ষে ৭০ বার ঘটিয়েছেন দিয়েগো। পুলিশও এই চাষিদের মৃত্যুর তদন্ত না করতে পেরে আত্মহত্যা বলেই চালিয়ে দিত।
বেশ কয়েক বছর এই ভাবে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার পর অবশেষে ধরা পড়েন দিয়েগো। ১৮৪১ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
যে সময়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তখন ফ্রেনোলজি একটি জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠছিল। যে কোনও মানুষের করোটির গঠন বিচার করে তাঁর মানসিক শক্তি এবং ব্যক্তিত্বের দোষ এবং গুণাবলী যাচাইয়ের চেষ্টার বিজ্ঞানকে বলা হয় ফ্রেনোলজি।
জানার চেষ্টা করা হত সেই ব্যক্তির অপরাধমূলক প্রবণতার কথাও। দিয়েগো আলভেজের মস্তিষ্ক নিয়েও গবেষণার কথা প্রস্তাবিত হয় তখনই। আর সেই কারণেই পর্তুগাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার দিয়েগো আলভেজের মাথা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন