[ফাইল ছবি] বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন স্বামী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তার স্ত্রীর নাকি অন্য পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। প্রমাণ হিসেবে স্ত্রীর মোবাইলের কথোপকথন, চ্যাট, ক্ষুদে বার্তা আদালতে পেশ করেছিলেন স্বামীর উকিল। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসি`র।

ওই ব্যক্তির স্ত্রীর তখনই সন্দেহ হয় তার ফোনে গোপনে আড়ি পেতেছে স্বামী। এবারে থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। সেখান থেকে বিষয়টি যায় তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরে। তদন্তে উঠে আসে কীভাবে বে-আইনিভাবে স্ত্রীর মোবাইলে একটি সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দিয়ে সব তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন স্বামী।

পরে ওই ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পশ্চিমবঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী মীমাংসাকারী অফিসার ।

ফেসবুকের মাধ্যমে ২০১৩ সালে পরিচয়ের পরে কিছুদিনের প্রেম ও পরে বিয়ে করেছিলেন ওই দুজন। বিয়ের পর থেকেই আত্মীয়স্বজন, শিক্ষকসহ কারও সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্ত্রী।

সেকারণে একপর্যায়ে বাপের বাড়িতে চলে যান ওই নারী। এর মধ্যে দিন কয়েকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেসময় নিজের ফোন নষ্ট দাবি করে কিছুক্ষণের জন্য স্ত্রীর ফোনটি নিয়েছিলেন স্বামী।

ওই সময়েই স্ত্রীর মোবাইলে এমন একটি সফটওয়্যার লোড করে দেন স্বামী, যার মাধ্যমে কার সঙ্গে কী কথা হচ্ছে, কার সঙ্গে স্ত্রী কী চ্যাট করছেন, সব কিছুই স্বামী জানতে পারতেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

নারী পক্ষের আইনজীবি বিভাস চ্যাটার্জী বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তি নিশ্চিতভাবেই তার স্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় ওইসব নথি পেশ করা হয়েছিল।

তবে স্বামী এবং তার আইনজীবীরা অবশ্য স্ত্রীর মোবাইলে উঁকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

কিন্তু মীমাংসাকারী অফিসার তল্লীন কুমার সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।