শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আহা আজি এ বসন্তে…

‘ছুটেছে বসন্ত বায়ু মুকুল মধুর গন্ধে,/নাচিছে পল্লবরাজি পরান-পাগল ছন্দে।/চিত্তে মদির মত্ত মধীর তৃষ্ণা উঠেছে কেঁপে,/স্তব্ধ নিথর চিরমনোহর নিখিল বিশ্ব-ব্যেপে।’-তারুণ্যের কবি নির্মলেন্দু গুণ কাব্যরসে এভাবেই গেয়েছেন বসন্তের গান। শ্যামল সবুজ বাংলার বুকে এ কথাগুলো আজ ধ্বনিত হবে কোটি প্রাণে।

আজ যে পহেলা ফাগুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। কোকিলের কুহুতানে তার আগমনী বার্তা শোনা যাচ্ছিল আরও কয়েক দিন আগে থেকেই। শুকনো পাতা ঝরে পড়েছে তারও আগে। জন্ম নিয়েছে নতুন কচি পাতার।

আজ সেই পত্র পল্লবে, ঘাসে ঘাসে, নদীর কিনারে, কুঞ্জ-বীথিকা আর ওই পাহাড়ে অরণ্যে বসন্ত এসেছে নবযৌবনের ডাক দিয়ে। সবখানে ছড়িয়ে গেছে রঙের বাহার। রবিঠাকুরের ভাষায় ‘রঙ লাগলো বনে বনে/ঢেউ লাগলো সমীরণে।/আজ ভুবনের দুয়ার খোলা/দোল দিয়েছে বনের দোলা/’। শীতের আড়ষ্টতা ভেঙে আজ জেগে উঠবে মন প্রাণ।

মধুময় বসন্তে ফুলের সৌরভে মেতে উঠবে চারিপাশ। মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, মাতাল হাওয়া ছুঁয়ে যাবে তনুমন। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া জেগে উঠবে সোনালি রোদের স্পর্শে। আজ যদি বলা হয় বসন্তের রং কি? তাহলে সবাই বলবে ‘বাসন্তী’। হ্যাঁ, গাঁদা ফুলের রঙেই আজ সাজবে তরুণ-তরুণীরা। পরবে বাসন্তী রঙের শাড়ি। খোঁপায় গুজবে ফুল আর হাতে পরবে কাচের চুড়ি। তরুণরাও বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরে নামবে বাংলার পথে ঘাটে। শুধু শহরেই নয়, বাংলার গ্রামীণ জনপদেও আজ ঝিরি ঝিরি বাতাসে ধরা দেবে বসন্ত।

এই বসন্ত শুধু শুধু উচ্ছ্বাসের রং ছড়ায় না, আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্তরাঙিন স্মৃতির কথাও মনে করিয়ে দেয়। ১৯৫২ সালের আট ফাল্গ–ন বা একুশের পলাশরাঙা দিনের সঙ্গে তারুণ্যের সাহসী উচ্ছ্বাস আর বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ারও যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।

বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায়। বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গ–ন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। এ উৎসব এখন সব বাঙালির উৎসব। এই উৎসবটির একটি ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম ও উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিল না। তাই বসন্ত উৎসব শুধু একটা উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য।

বসন্তের সঙ্গে তারুণ্যের যোগসূত্র চিরকালের। কারণ, বসন্ত মানেই কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা। আজ তাই তরুণ-তরুণীরা নামবে পথে প্রান্তরে। আর এই রাজধানী ঢাকার বুকে বাসন্তী সাজে তারা ঘুরে বেড়াবে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর, চারুকলা আর টিএসসিতে। আর অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিণত হবে মানুষের বাসন্তী রঙের বাগানে। রমনা পার্ক, জাতীয় সংসদ, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিকেল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, চারুকলার পেছনের সবুজ প্রাঙ্গণে ঘুরতে বেরোবে রাজধানীবাসী। ঋতুরাজকে জানাবে অভিবাদন।

গত ২২ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রাজধানীতে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ। ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ চিরায়ত এ স্লোগান ধারণ করে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় যন্ত্রসঙ্গীতের সুর মূর্ছনা দিয়ে শুরু হবে এই উৎসব। ১০টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠান চলবে চারুকলার বকুলতলা, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর এবং উত্তরার ৩নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে।

এ উৎসবে থাকবে যন্ত্রসঙ্গীত, বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী, আবির বিনিময়, একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, একক সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, আদিবাসীদের ও শিশু-কিশোরদের বিশেষ পরিবেশনা। দেশের অগ্রগণ্য দল ও বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করবেন। ভারতের ত্রিপুরা থেকে একটি নৃত্যের দলও উৎসবে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

বসন্ত কথন পর্বে অংশ নেবেন সম্মিলিতি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি-গোলাম কুদ্দুছ, উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ। বসন্ত উৎসবের চারুকলার সকাল ও বিকালের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশ টিভি। ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরের অনুষ্ঠানটি বিকাল ৪ থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার করবে এনটিভি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে

রফতানি নীতি এর খসড়া (২০২৪-২০২৭)- অনুমোদন হয়েছে। এতে রফতানির কিছুবিস্তারিত পড়ুন

৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 

ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুনবিস্তারিত পড়ুন

  • এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ
  • আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
  • কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন
  • উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
  • সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
  • আমাদের মূল চালিকাশক্তি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পয়লা বৈশাখ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • উন্নত দেশ গড়াতে একসাথে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • আগামীকাল আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী