মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

কন্যা সন্তানের বাবারা সত্যিই কি জান্নাতি হবে?

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার আমার ঘরে একজন নারী এলেন। সঙ্গে দুই কন্যা। ওরা ক্ষুধার্ত। তারা আমার কাছে সাহায্য চাইল। আমার কাছে একটি মাত্র খেজুর। নারীর হাতে এগিয়ে দিলাম। সে দুই কন্যার হাতে ভাগ করে দিল। তার মুখে কিছুই দিল না। নারীটি বিদায় নিয়ে চলে গেল। এমন সময় আল্লাহর রাসুল সা. ঘরে আসলেন। আমি ঘটনাটি নবীজি সা.-এর কাছে বললাম। তিনি বললেন, যে বাবা-মা কন্যাদের ব্যাপারে সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে; বিচারের দিবসে এই কন্যাগণই তার জন্য জাহান্নামের আগুনের অন্তরায় হবে। (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৪৯) মহানবী সা. আরও বলেছেন, যার কন্যা সন্তান আছে, সে কন্যাকে জীবিত কবর দেয়নি, কন্যাকে দীনহীন ও লাঞ্ছিত করেও রাখেনি, আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন। (আবু দাউদ)।মহানবী সা. আরও বলেন, যে বাবার তিনটি কন্যা আছে, এ জন্য সে যদি সবর করে এবং নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের ভালো কাপড় পরায়, তাহলে তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হবে। (আদাবুল মুফরাদ ও ইবনে মাজাহ) রাসুলে কারিম সা. আরও বলেন, যে ব্যক্তি দুটি কন্যাকে বিবাহ-শাদী দেওয়া পর্যন্ত লালন-পালনের দায়িত্ব পালন করবে, আমি এবং সেই ব্যক্তি কেয়ামতের দিন এভাবে একত্রে থাকব। এই বলে নবীজি নিজ হাতের আঙুল মিলিয়ে ধরলেন। (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৫৩)। হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সা. বলেন, এমন স্ত্রী উত্তম ও বরকতময় যার মোহরের পরিমাণ কম। এমন স্ত্রী উত্তম ও বরকতময় যার প্রথম সন্তান মেয়ে। মহানবী সা. আরও বলেন, যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে; সেই বাবা কষ্ট দেয়নি, তার উপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্যও দেয়নি, এমন বাবাকে আল্লাহতায়ালা শুধু মেয়ের কারণে জান্নাত প্রদান করবেন। (মুসনাদে আহমদ : ১/২২৩) নবী কারিম সা. আরও বলেছেন, যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান আছে, বাবা তার কন্যাদেরকে ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দিবে, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে এবং যতেœর সঙ্গে লালন-পালন করবে, কন্যাদের ওপর অনুগ্রহ করবে, সে ব্যক্তির ওপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। হজরত জাবের রা. বলেন, মহানবী সা. বলেছেন, যার তিনটি কন্যা সন্তান হয় আর সে তাদের লালন-পালন করে, তাদের প্রতি মমতা দেখায় এবং তাদের ভার বহন করে; তাহলে তার জন্য জান্নাত নিশ্চিত। প্রশ্ন করা হলোÑ হে আল্লাহর রাসুল, যদি দুজন হয়? নবীজি বললেন, দুজন হলেও। হজরত জাবের বলেন, ধারণা করা হয় কেউ যদি নবীজিকে বলতেন, যদি একজন হয়? তাহলে নবীজি সা. বলতেন, একজন হলেও।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সৌদি আরব যেকোনো ভিসায় করা যাবে ওমরাহ!

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছেবিস্তারিত পড়ুন

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের রায়বিস্তারিত পড়ুন

ঈদ সালামি কি জায়েজ?

বছরে দুবার মুসলিমদের জন্য ঈদ আনন্দ নির্ধারিত। ঈদ এলেই আনন্দবিস্তারিত পড়ুন

  • শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার
  • জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার কথা জানালো ডিএমপি কমিশনার
  • ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ফিলিস্তিনিদের
  • যেভাবে টানা ৬ দিনের ছুটি মিলতে পারে ঈদুল ফিতরে
  • রাস্তায় ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার
  • যেসব অঞ্চলে আজ থেকে রোজা শুরু
  • রমজান মাসে কম দামে পাওয়া যাবে মাছ ও মাংস
  • পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু, জানা যাবে সোমবার
  • একই নিয়মে সব মসজিদে তারাবি পড়ার আহ্বান
  • শরিয়তে মৃতদের স্মরণের সঠিক দিকনির্দেশনা রয়েছে
  • দুর্গাপূজার প্রস্তুতি মণ্ডপে মণ্ডপে
  • দেশে ফিরেছেন ৫২ হাজার হাজি ১৪২ ফ্লাইটে