সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

কোনো বিষয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত দেখলে করণীয় কী?

প্রশ্ন : আমার প্রশ্নটা মূলত যাঁরা সালফেস সালেহিনদের অনুসরণ করেন, যাঁরা আহলে সুন্নাহ হিসেবে নিজেদের দাবি করেন, তাঁদের ব্যাপারে। আমি এ বিষয়ে ডা. সাইফুল্লাহ এবং আরো অনেকেই যাঁরা আছেন, তাঁরা যা বলেন তা অনুসরণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের সমস্যা হয়ে যায় তখন, যখন উনাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এখতেলাফ হয়। সেই সব বিষয়ের ক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়?

উত্তর : এ ভাই যে প্রশ্ন করেছেন, তাঁর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। মূলত কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে সালফেস সালেহিনদের ভেতর মতবিরোধ, মতপার্থক্য, মতবৈচিত্র্য আছে। মতবিরোধের কারণে সেখানে দ্বিমত আছে। আমরা চেষ্টা করি যেটা সেটা হচ্ছে, সালেফদের আমল যেভাবে সাব্যস্ত হয়েছে এবং যেটা আমাদের জ্ঞান অনুযায়ী সবচেয়ে সঠিক, সে বিষয়টি বলার জন্য। এ ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে দ্বিমত হতে পারে, অস্বাভাবিক কিছুই নয়।

যেমন : স্বর্ণালংকারের মাসআলার মধ্যে আলেমদের দ্বিমত আছে। এর ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। কিন্তু আমরা যাঁদের তাহকিক গ্রহণ করেছি এবং আমরা নিজেরা যে বিষয়গুলো তাহকিক করেছি, আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে এতে জাকাত নেই। এটাই আমরা বলেছি। সূরা ফাতিহার ব্যাপারেও আমাদের কাছে যে তাহকিক, সেটা হচ্ছে সালফে সালেহিনদের আমল দ্বারা যেটা সাব্যস্ত হয়েছে, রাসূল (সা.)-এর হাদিসটাকে যদি আমরা সামনে রাখি, সেটা তো অনেক দীর্ঘ একটা আলোচনা। যে ভাই প্রশ্ন করেছেন, তিনি হয়তো এখানে যে গবেষণা আছে সেটি বুঝতে পারেননি।

যাই হোক, এ বিষয় নিয়ে আমরা চেষ্টা করি সবচেয়ে আকরামিয়াস সওয়াব, সেই বক্তব্য দেওয়ার জন্য। সে ক্ষেত্রে মতবিরোধ থাকলে আমরা কিন্তু বলে দিই প্রত্যেকটা মাসালার মধ্যে যে, সালাফদের মধ্যে মতবিরোধ, মতপার্থক্য রয়েছে। আমরা উল্লেখ করি, স্পষ্ট করি যে, এই মাসালার মধ্যে মতপার্থক্য বা বিভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট করে দেওয়া আমাদের বক্তব্য, যেটা আমরা তারজিহি দিচ্ছি, যেটা আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি, সেটা বলে সেখানে আমরা দলিলও কিন্তু উল্লেখ করে দিই।

সুতরাং এই মতবিরোধের কারণে আপনার মধ্যে আসলে অন্য কোনো কিছু কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের মতপার্থক্য থাকার পরও তো আমরা এক আল্লাহর বান্দা, আমরা মুসলিম উম্মাহর সদস্য এবং আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের মধ্যে কোনো চিড় ধরবে না।

এ ধরনের মতপার্থক্য থাকবেই, থাকতেই পারে। এটা এখতেলাফের বিষয় না। এই কারণে, আপনি যাদের নাম বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার কোনো দিন দ্বিমত হয়নি। তাঁরা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছি। ইমামদেরও নানা মত রয়েছে আমরা জানি। চারটা মাজহাবের পার্থক্য আছে। তারপরও তো চারটা মাজহাবের চারজন ইমাম আমাদের সম্মানিত। তাঁদের আমরা সম্মান, শ্রদ্ধা করি। গবেষণার কারণে কিছু পার্থক্য অতীতেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকতে পারে। ভাই এ পার্থক্য নিয়েই আমরা অতীতে চলেছি, এখনো চলছি। ইনশাআল্লাহ সামনেও চলব। এরপরও আমরা এক আল্লাহর বান্দা, মুসলিম, আমাদের ঐক্যের বন্ধনকে, ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আমাদেরই সমুন্নত রাখতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সৌদি আরব যেকোনো ভিসায় করা যাবে ওমরাহ!

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছেবিস্তারিত পড়ুন

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের রায়বিস্তারিত পড়ুন

ঈদ সালামি কি জায়েজ?

বছরে দুবার মুসলিমদের জন্য ঈদ আনন্দ নির্ধারিত। ঈদ এলেই আনন্দবিস্তারিত পড়ুন

  • শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার
  • জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার কথা জানালো ডিএমপি কমিশনার
  • ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ফিলিস্তিনিদের
  • যেভাবে টানা ৬ দিনের ছুটি মিলতে পারে ঈদুল ফিতরে
  • রাস্তায় ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার
  • যেসব অঞ্চলে আজ থেকে রোজা শুরু
  • রমজান মাসে কম দামে পাওয়া যাবে মাছ ও মাংস
  • পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু, জানা যাবে সোমবার
  • একই নিয়মে সব মসজিদে তারাবি পড়ার আহ্বান
  • শরিয়তে মৃতদের স্মরণের সঠিক দিকনির্দেশনা রয়েছে
  • দুর্গাপূজার প্রস্তুতি মণ্ডপে মণ্ডপে
  • দেশে ফিরেছেন ৫২ হাজার হাজি ১৪২ ফ্লাইটে