চট্টগ্রামে মোবাইল বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যায় রহিমের
মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় গ্যারেজ মিস্ত্রি মো. রহিমকে খুন করা হয়। হত্যায় অংশ নিয়েছে তিন ছিনতাইকারী। ছিনতাই কাজে ব্যবহারের জন্য ৩০০ টাকায় রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে কেনা হয় ছুরি। এ হত্যার ঘটনায় ইউসুফ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার রাতে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন এক ছিনতাইকারী। তার নাম ইউসুফ। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন অর রশীদ আসামি ইউসুফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পুলিশ জানায়, আদালতে ইউসুফ বলেছেন, ‘গত বছরের ২৫ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানার কদমতলী ফ্লাইওভারের ওপর গ্যারেজ মিস্ত্রি মো. রহিম তার বন্ধু সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে দুপুরে বেড়াতে যায়। দু’জন মিলে ফ্লাইওভারের ওপর ছবি তুলছিল। এমন সময় মোটরসাইকেলে নিয়ে তারা তিনজন এসে তাদের ঘিরে ধরে। ছুরি দেখিয়ে প্রথমে সাদ্দামের মোবাইল ফোনটি তারা ছিনিয়ে নেয়।
এরপর রহিমের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিতে চাইলে সে বাধা দেয়। মোবাইল ফোনটি নিয়ে রহিমের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে রহিমের ডান ঊরুতে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’ পরে রক্তাক্ত রহিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রহিমের বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ জানান, ৫ জুলাই রাতে দুই ছিনতাইকারী পারভেজ ও মেহরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কদমতলী ফ্লাইওভারের ওপর রহিম নামে এক যুবককে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা আদালতেও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের দেয়া তথ্যে বৃস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর মনসুরাবাদ এলাকার একটি পোশাক কারখানার সামনে থেকে ইউসুফকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রহিম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ ও গ্রামবাসী একত্রে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা
আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগেবিস্তারিত পড়ুন
ভয়ংকর অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে: ডিবি প্রধান
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যানবিস্তারিত পড়ুন