তামিমের ২ সহযোগী জঙ্গি তাওসিফ ও রাব্বির আদ্যোপান্ত
ঢাকা: ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ১৯/২ নম্বরের বাসাটিতে চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতো তাওসিফ। সে পড়তো মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে। সে কারণে তাওসিফ মালয়েশিয়াতেই থাকতো বেশিরভাগ সময়। তবে ছুটিতে দেশে এলে এ বাসাটিতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে উঠতো।
ঔ বাসার কেয়ারটেকার মো. শহীদ বলেন, ‘‘তাওসিফ ৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাসা থেকে কালো রঙের একটা ব্যাগ নিয়ে বের হয়। প্রতিদিন বিকালে সে বাসা থেকে বের হতো। আমি ভাবছি কোচিংয়ে যায়। ওইদিনের পর থেকে তাওসিফকে আর এ বাসায় দেখা যায়নি।’’
এদিকে গতকাল নারায়ণগঞ্জ জঙ্গি আস্তানায় তাওসিফ নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই তাওসিফের বাবা ডা. আজমল হোসেন ও মা ফরিদা হোসেন বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন, তা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী, কেয়ারটেকার ও গৃহপরিচারিকাদের কেউ বলতে পারেন না।
র্যাব থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত নিখোঁজের তালিকার সাত নম্বরে রয়েছে তাওসিফ। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। তাওসিফ নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা ধানমণ্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল।
যেভাবে জঙ্গি দলে যায় তামিমের সহযোগী রাব্বি:
যশোরের কাজী ফজলে রাব্বী সম্পর্কে জানা গেছে কিছু তথ্য।গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় রাব্বী এলাকায় কারও সঙ্গেই মিশতেন না। বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতেন। সেখানকার ইমাম রাব্বীসহ চার-পাঁচজনকে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার প্রয়াস চালান। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় লোকজন ইয়াহহিয়াকে ওই মসজিদ থেকে বের করে দেন।
এক প্রতিবেশী বলেন, ‘রাব্বীরা কেউই এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিশতেন না। বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ পড়তেন। এখানে (মসজিদে) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা আসতেন, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের লোকজনও আসতেন। রাব্বী বাড়ি থেকে যেদিন চলে যান, হুজুরদের সঙ্গেই গিয়েছিলেন।’
রাব্বীর আরেক প্রতিবেশী জানান, সে বাড়িতে ল্যাপটপ ব্যবহার করতো। কিন্তু ঘরে তার বাবা-মা ঢুকলেই তা বন্ধ করে দিতো। তার বাসায় জেহাদের নানা বই পাওয়া যায়, যেগুলো তার বাবা নষ্ট করে ফেলেছেন।
গত মাসে যশোর পুলিশ যে পাঁচজনকে জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্ত করে পোস্টার ছাপে, ফজলে রাব্বির নাম ও ছবি সেই তালিকায় দ্বিতীয় নাম্বারে ছিল। তিনি যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের পদার্থবিদ্যা (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি বাসায় গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটি) ও পুলিশের এলআইসি শাখা। ওই অভিযানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। প্রথমে অপর দুজনকে ইকবাল ও ভাবলেও আজ রবিবার তাদের একজন যশোরের ফজলে রাব্বী ও অপরজন রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার তাওসিফ হোসেন বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। নিহত তাওসিফ মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এর আগে গুলশান হামলার ঘটনায় নিহত জঙ্গি নিব্রাস ইসলামও ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান,বিস্তারিত পড়ুন
অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহের যখন পুড়ছে পুরো দেশ তখন উত্তরপূর্বাঞ্চলের জেলাবিস্তারিত পড়ুন