তিস্তা নিয়ে কথা বলায় ভারতের নির্দেশে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন দিপু মনি !
শেখ হাসিনা ও তার সরকার যে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত– এ কথা আজ প্রমাণিত হলো ভারতীয় পত্রিকাগুলোর সংবাদে। শেখ হাসিনা যে ভারতের কথামতো চলেন, সেদেশের কথামতো মন্ত্রী বানান, আবার কারো মন্ত্রীত্ব খান- এমন প্রমাণ তো মিললো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সংবাদপত্র ’আনন্দবাজার’ এর আজকের প্রধান প্রতিবেদনে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিস্তা চুক্তির প্রয়োজন বোঝাতে গিয়ে কলকাতায় এক মিটিংয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি। দীপু মণি বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছিলেন, ’’তিস্তার পানি শুধু আপনাদেরই পানি নয়, আমাদেরও পানি। দরকার হলে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে যাব!’’ এতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। দীপু মনির এই কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসন্তুষ্ট হন।
পরের দফায় মন্ত্রিসভায় আর রাখাই হয়নি দীপু মণিকে। আর এই কারণে দিপু মনির মন্ত্রীত্ব হারান বলে বলছে আনন্দবাজার। আজকের প্রতিবেদনে আনন্দবাজার লিখছে–
“এর আগে মমতার সঙ্গে দৌত্যে যে ভুল বাংলাদেশ এবং ভারত বারবার করেছে, আর তা করতে চান না হাসিনা। পাঁচ বছর আগে কলকাতায় গিয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। পরিণামে মমতার চোয়াল আরও শক্ত হয়, শেখ হাসিনা অসন্তুষ্ট হন এবং মন্ত্রিত্ব খোয়ান দীপু মণি।
এ বারের সফরে মমতার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত রসায়নেই যে ভরসা করছেন হাসিনা, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেল।” শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ভারতের আশ্বির্বাদ নিয়েই থাকতে চান। ভারতের ধমক খেয়েই সামনে এগুতে চান।
ভারতকে খুশি রাখতে তার কেবিনেটের তারই আস্থাভাজন একজনকে সরায়ে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেননি তিনি।
আনন্দবাজারের আজকের এই প্রতিবেদন আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। দেশের স্বার্থে কথা বলায় যিনি একজনের মন্ত্রীত্ব খেয়ে ফেলেন তিনি দেশ বিক্রি করতে কি দ্বিধাবোধ করবেন? পানি অন্যায়ভাবে আামাদের পানি আটকিয়ে রাখায় দিপু মনি এই একটু কখা বলেছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্তই জরুরি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামবিস্তারিত পড়ুন
মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত ভুল: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশবিস্তারিত পড়ুন
ম্যাসেজ টু কমিশনার (M2C) : রাস্তার অবৈধ দোকান সরানো হলো
মহানগরীর যে কোন নাগরিক পুলিশি সেবা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য,বিস্তারিত পড়ুন