দেশে স্কুল শিক্ষায় ছেলেদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে মেয়েরা
বাংলাদেশে এবছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় প্রায় দেড় লাখ বেশি। এটিকে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক বিরাট অগ্রগতি হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি মানুষের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়েছে। খবর- বিবিসি বাংলা।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, মেয়েদেরকে এখন বাবা-মা স্বাবলম্বী হিসেবে দেখতে চান এবং সেটাও নারী শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখছে। এবার সাধারণ স্কুল এবং মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। সেখানে এবার ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সামাজিক দিক থেকে বড় বাধা তৈরি হতো। এখন সে সব চ্যালেঞ্জ অনেকটা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। আর জুনিয়র সার্টিফিকেট পরিক্ষায় মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সমাজের মানসিকতার পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের উপবৃত্তি বেশি দেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে বিনা মূল্যে বইও দেয়া হচ্ছে। এ ধরণের সরকারি সুবিধাগুলোও মেয়েদের আগ্রহ বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
যশোরের শার্শা উপজেলায় পাকসিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেছেন, তার স্কুলেই ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মেয়েরাই ফল ভাল করছে। কয়েক বছর ধরে এমন ধারা তিনি লক্ষ্য করছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “গ্রামে লেখাপড়া করে অনেক মেয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বা অন্য চাকরি করছেন। এটা দেখে গ্রামের অন্যান পরিবারগুলোতেও মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে।মেয়েরা অর্থের দিক থেকে স্বাবলম্বী হবে, এখন এই চিন্তা কিন্তু গ্রামেও বাড়ছে।”
সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, মেয়েরা শিক্ষা লাভ করে চাকরি করে বুড়ো মা-বাবাকে দেখবে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যেও এমন আকাংখা এখন বাড়ছে। ফলে এখনকার বাস্তবতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছেও লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়ও কমে আসছে।
তবে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার অভিযোগ এখনও রয়েছে। দারিদ্র এবং সেকারণে বাল্যবিবাহের বিষয়ও রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মনে করেন, স্কুল শিক্ষা শেষে ধারে কাছে কলেজ বা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কম থাকায় এই পর্যায়ে এসে মেয়েদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বেশি হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ সকলে মিলে মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে। এখন ঝরে পড়া ঠেকাতেও সকলের একসাথে কাজ করার বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিতে চাইছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমানবিস্তারিত পড়ুন
উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেবিস্তারিত পড়ুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের ইতিহাসের অনন্য মাইলফলক : মোজাম্মেল হক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শেখবিস্তারিত পড়ুন