নিজের আপন খালাই আমাকে খালুর বিছানায় যেতে বাধ্য করে
আমরা সব সময় বলে থাকি যে, জীবন থাকলে সমস্যা থাকবে,আর সমস্যা থাকলে উত্তরনের উপায় ও থাকবে, কিছু কিছু সমস্যা প্রকট অবার কিছু সমস্যা সামান্য। তবে সব সমস্যাই সমস্যা, আর এই সব সমস্যা মোকাবেলা করে জীবন কে এগিইয়ে নিতে হবে আমি সোমা কামাল সবাইকে এটাই বলে থাকি সব প্রশ্নের উত্তরে। প্রতিদিন আমরা অগণিত মেইল ও মেসেজ পেয়ে থাকি পাঠকের নির্বাচিত কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দেবার চেষ্টা করি। ঠিক তেমনি আজকেও আমাদের একজন অসহায় বোনের চিঠি…
ছোট করে প্রকাশ করে সেটার উত্তর দিচ্ছি..……
সুইটিঃ আপু জীবন টা নিয়ে এক দুর্বিসহ যন্ত্রণাই ভুগছি. আমি যখন খুব ছোট তখন আমার ছোট খালা আমাকে তার বাসাই নিয়ে যাই। আমার বয়স তখন ছিল ৮ বছর খালার কোন বাচ্ছা ছিলো না তাই আমাকে অসম্ভব আদর করতো। আমার খালু ছিলো নামাজি কিন্তু ডিংক্স করতো সাথে আমার খালাও। আমি প্রথমে এগুলো বুজতাম না পরে বুজেছি, খালা আমাকে খুলশি এলাকার একটি নাম করা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেই, আমি মাঝে মাঝে আমার এলাকাই যেতাম তবে সেটা বছরে দুই একবার।
আমি যখন ৮ম শ্রেনিতে উঠি তখন আমার খালা আমাকে তাদের সাথে মদ খেতে বলে, আমি অনেক কান্নাকাটি করি কিন্তু কোন কাজ হয় না। অবশেষে আমাকেও খেতে হয় একটু একটু করে এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। আমি মদ না খেতে চাইলে খালা আমাকে গালিগালাজ করত মারধর ও করতো। একদিন রাতে খালা আমাকে খালুর সাথে বিছানাই যেতে বলে, আমি খালার এই কথা শুনে অবাক যাই, আমার আপন খালা একি বলে আমাকে?
আমি কাদতে কাদতে আমার রুমে গিয়ে দরজা দরজা বন্দ করে ঘুমিয়ে পড়ি। কিছুদিন খালা আমাকে আর ডাকেনি, সপ্তাহ্ খানেক পর খালা আমাকে অবারও জোর করে মদ খাওইয়ার জ্ন্য এবং এও বলে যে, আজকে আমাদের সাথে এই তিনটা বোতল শেষ করতে হবে, আর না পারলে পুরো মদের দাম আমার থেকে নিবে।
আমি অসহায়ের মত শুধু চেয়েযেছিলাম খালার দিকে, আর ভাবছিলাম একি আমার সেই খালা যে আমাকে নিজের সন্তানের মত আদর করত। আমি বাদ্য হলাম মদ খেতে এক সময় মদ খেতে খেতে নিস্তেজ হয়ে পরলাম। আমার হুশ ছিলো দেখ্লাম খালু আমাকে স্পর্শ করছে, আমি সেদিন কোনমতে নিজেকে সেভ করি, তারপর তিনদিন খালু ব্যব্সার কাজে বাসার বাইরে ছিলো, একারনে খালা আমাকে আর মদ খেতে ডাকেনি।
কয়েকদিন পর খালু বাসায় আসলেই খালা আবারও আমাকে ডাকে, একদিন রাতে মদ খাওয়া শেষ করতেই ঘুমিয়ে পড়ি। আমার কিছু খেয়াল ছিলো না, সকালে ওঠে দেখি আমি আমার বিছানাই, আমার সবকিছু এলোমেলো!
আমি খালাকে বলি মদের সাথে কি মেশানো ছিলো যে আমি সাথে সাথেই ঘুমিইয়ে গেলাম? আমার কথা শুনে খালা কোন কথা বলে না, আমি সেদিন আর নিজেকে সামলাতে পারেনি খুব গালিগালাজ করি খালাকে। কিন্তু অবাক হবার মত বিষয় খালা নামধারি ও নরপিশাচিনি শুধুই হাসে আমার কথা শুনে, এরপর থেকে খালা আমাকে আর ডাকেনি মদ খেতে, তারপর প্রায় দুইমাস অতিক্রম করলো আমার শরিরের পরিবর্তন লক্ষ্য করি,আমার পিরিয়ড ব্ন্ধ, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম মদ খাওয়া ছেড়ে দিযেয়ছি হয়ত এ কারনে এমন হচ্ছে।
সামনে আমার এস,এস্,সি ফাইনাল আমি খুবই চিন্তিত!! একদিন আমি ওই শয়তান কে বলি সত্য কথা বলবেন আপনি কি ওইদিন কিছু করেছিলেন আকদিন? আমি এটাও বললাম যে সত্য না বললে আমি সুইসাইড করবো, তখন সে মাথা নাড়াই আর বলে হ্যা, আমার আর বুজতে বাকি থাকে না যে আমি পেগনেন্ট!!!
আমার জোড়াজুড়িতে সে আমাকে একটি ঔষুধ এনে দেয় আর বলে যে এটা খেলে ওটা পড়ে যাবে, কিন্তু কাজ হয় না। ছয় মাসের কাছাকাছি আমি তখ্ন সিদ্ধান্ত নেই বাড়িতে বলার কিন্ত ওই ডাইনি বলে যা হবার হইছে কেও জানবে না বাচ্ছাটা হবার পর তাকে দিয়ে যেন চলে যাই,কিন্তু আমি রাজি না বাড়িতেবলে দিতে চাই।
অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় এবর্শন করানোর, তারপর করানো হয়, চরম কস্ট আজও ভুলতে পারিনা আপু। এরপর আমি বাড়ি চলে আসি, আমার তো নিজের মা নেই তাই সৎ মা কে বলি, প্রথমে কেউ বিশ্বাস করেনি কিন্তু আমার অব্স্থা দেখে এবং এবরশন এর লক্ষণ দেখে মা বিশ্বাস করে, আমার বাবা খালাকে কল দেই, তখন খালা চিৎকার করে বলে আমার বাবার নাম উচ্চারণ করে, জলিল তোর কারনে আমার বোন মরেছে শুধু তোর কারনেই আমি কখনোই মা হতে পারবো না, তাই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তোর মেয়েকে আমার স্বামী বিছানাই দিব, আর আমি তাই করেছি।
আমার মন খুবই খারাপ ছিলো তাই আমার সৎ মা আমাকে সিলেটে নিয়ে যাই ঘুরতে, যাতে আমি স্বাভাবিক হয়ে উঠি।
কিন্তু সৎ মা পরে আমাকে সিলেটে নিয়ে যায় অন্য উদ্ধেশ্যে যা আমি পরে টের পাই। আমাকে দিয়ে অনৈতিক কাজ শুরু করায়। এরপর থেকে আমার পরিচয় আমি কল র্গাল। আমার কাছে আসে নামী দামী অনেক লোক। আমার সৎ মায়ের এ খপ্পর থেকে আমি আজও বাহির গতে পারিনি। কিন্তু আমার এই জীবন ভালো লাগেনা। আমি স্বাভাবিক জীবনের ফির আসতে চাই। এখন আমার করনীয় কি?
পরামর্শঃ আপু তোমার পূরা ঘটনা পড়ে আমরা হতভাক! কি পরামর্শ দিব বুঝতে পারছিনা। সুইটি, হয়তো তোমার বাবা এমন কোন কাঝ করছে তাই তোমার খালা তোমার সাথে এই কাজ করছে।
আর তোমার সৎ মা তোমাকে ব্যবহর করে তার সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। আমি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। যা হোক আমি বলবো তুমি তোমার বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আস এখন, এটা কোন জীবন না। আমরা আছি তোমার সাথে। তোমার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আমার জন্য আমরা সকল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তুকতাক করার অভিযোগে গ্রেফতার মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী
মালদ্বীপের নারী মন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারবিস্তারিত পড়ুন
ওডিশার প্রথম নারী মুসলিম এমএলএ সোফিয়া ফিরদৌস
ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ওডিশা থেকে প্রথম নারী ও মুসলিম এমএলএবিস্তারিত পড়ুন
গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ এ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়েবিস্তারিত পড়ুন