মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায় মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ

উন্নয়ন ও অগ্রগতির সূচক বিবেচনায় নিলে দারুণ এক সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে অনন্য উচ্চয়তা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে আছে দেশ।

বঙ্গবন্ধুর কন্যার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনার সরকার মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে একের পর এক মাইলফলক অতিক্রম করছে। এগুলো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমুখী যে গণতন্ত্র তারই সুফল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নেও সরকারি দল কাজ করছে। গত আট বছরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। একাত্তরের দেশি ঘাতকরা একের পর এক সাজার মুখে পড়ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মর্মবাণী দেশে-বিদেশে পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। এবারই আমরা প্রথমবারের মতো দেখলাম দেশজোড়া পালিত হয়েছে জাতীয় গণহত্যা দিবস। আগের সাড়ে চার দশকে ২৫ মার্চ কালোরাত এভাবে মর্যাদা পায়নি। মার্চ থেকে ডিসেম্বর- এই মাসগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আরো নানা ঘটনার জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একাত্তরের এমনি এক এপ্রিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান করে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। সেই সরকার শপথ নেয়, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বীকৃত হয়- এভাবে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি আরো মজবুত হয়।

অনেক রক্ত, অনেক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরে আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করি। বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতির আকাক্সক্ষা পূর্ণতা লাভ করে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত নবীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ পরিচালনা করা বঙ্গবন্ধু সরকারের জন্য ছিল কঠিন এক লড়াই। এ যেন এক যুদ্ধে জয়লাভ করে আরেক যুদ্ধের মুখে পড়া। এজন্যই বলা হয়ে থাকে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।

মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে পাকিস্তানি হানাদাররা আসলে পুরো বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। পাকিবাহিনীর দানবীয় আগ্রাসন আর গণহত্যায় পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়েই ছিল লাশের গন্ধ। প্রায় সব ধরনের অবকাঠামো ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত। সরকারের জনপ্রশাসন বলুন, জনবল বলুন- সবকিছুতেই ছিল হীনবল একটা দশা। এই পরিস্থিতির মধ্যে কাজ শুরু করে বঙ্গবন্ধু সরকার।

সাড়ে চার দশকের বেশি সময় আগের সেই সময়ে আমি লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে আসি। এখানে উল্লেখ করতে হয়, একাত্তরে আমি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় জানুয়ারির শেষদিকে যোগ দেই নব্য যাত্রা করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

জুলাইয়ের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় বাহাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর তথা প্রথম বিজয় দিবসে ইংরেজি ও বাংলায় স্যুভেনির প্রকাশ করা হবে। এটাই ছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পদক্ষেপ, যেখানে মুক্তিযুদ্ধকালের বাংলাদেশকে তুলে ধরা হবে। আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই নতুন রাষ্ট্র কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, তা-ও থাকবে স্যুভেনিরের মধ্যে।

এর জন্য বঙ্গবন্ধু একটি সম্পাদনা পর্ষদ গঠন করেন। যার প্রধান ছিলেন সৈয়দ আলী আহসান। এতে আরো যুক্ত ছিলেন কে. জি. মুস্তাফা, আবদুল গাফফার চৌধুরী, বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবেও আমারও সৌভাগ্য হয়েছিল এই কমিটিতে থাকার। স্যুভেনিরের নকশা ও অলঙ্করণ সাব-কমিটির প্রধান ছিলেন শিল্পী কামরুল হাসান। এতে আরো ছিলেন খ্যাতিমান শিল্পী কালাম মাহমুদ, কাইয়ুম চৌধুরী ও রফিকুননবী।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এই স্যুভেনিরে এমন সব লেখা থাকবে, যাতে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানের বিভিন্ন দিক উঠে আসবে। এতে ৯টি লেখা ছিল। আর ছিল একটি সারণি। যাতে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিবিধ উপাত্ত উঠে আসে।

এতে যারা লিখেছিলেন, তারা হচ্ছেন- ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ, আবদুল গাফফার চৌধুরী, ডি. পি. ধর (ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা), সরদার ফজলুল করিম, বি. কে. জাহাঙ্গীর, ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি, কে. জি. মুস্তাফা। এই গুণী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আমার একটি লেখাও প্রকাশিত হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু
সম্পাদক পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, ‘বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রকাশনা বাহাত্তরের নভেম্বরের শুরুর দিকে প্রস্তুত করে ফেলতে হবে। যাতে প্রথম বিজয় দিবসের আগেই দেশের ভিনদেশি দূতাবাস ও বিদেশে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে পৌঁছানো যায়। নতুন নতুন দেশে যাত্রা করা বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোয়ও এটি পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়। যাতে বিদেশে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরা যায় সহজেই। বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর কাছেও স্যুভেনিরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ তারা বিধ্বস্ত একটি নবীন রাষ্ট্র কিভাবে উঠে দাঁড়াবে, তার রূপরেখা বুঝতে চেষ্টা করছিল।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা নিয়েই সম্পাদনা পর্ষদ আমাকে যে লেখা তৈরির গুরুদায়িত্ব দেয়, তার শিরোনাম ছিল- ‘রিকনস্ট্রাকশন অব বাংলাদেশ।’ এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন এক লেখা। কারণ ৯টি মাস পাকিবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা পাড়ি দিতে হয়েছে এই দেশকে। রাষ্ট্রের মৌলিক অবকাঠামো, রেকর্ড, পরিকাঠামো- সবকিছুই মারাত্মক ধ্বংসের মুখে পড়েছিল।

তাই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দুরূহ একটি ব্যাপার ছিল।

এই সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আমার রচনায় তুলে ধরেছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে ধরেছিলাম। স্বাধীনতা সুরক্ষা ও তার সুফল জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে করণীয় কী, কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ তার বিবরণ তুলে ধরেছিলাম। যাত্রার কয়েক মাসের মধ্যেই আসলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। সংকট উত্তরণে বঙ্গবন্ধু সরকার দারুণ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, বিহার, মধ্য প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশে আশ্রয় নেওয়া এক কোটি শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাই কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান মতে, ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে ৬ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন শরণার্থী ছিল। আর ৩ দশমিক ১৩ মিলিয়ন শরণার্থী প্রতিবেশী দেশের আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের ফেরাতে বঙ্গবন্ধু সরকারকে একদিকে পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে হয়েছে, অন্যদিকে তাদের ত্রাণ সহায়তাও দিতে হয়েছে। এর মধ্যে আবার যারা অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী তাদের জন্য সরকারকে আলাদা করে নজর দিতে হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট দ্রুত মেরামত ও নির্মাণে নামতে হয়। কারণ জনসাধারণের যোগাযোগ অবকাঠামো না থাকলে কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুতে ধস নামার শঙ্কা থাকে। কৃষির ক্ষতি পূরণে দ্রুততার সঙ্গে শস্যাগার সংস্কারে হাত দিতে হয়। কৃষি, শিল্প-কারখানা তো বটেই, এমনকি গৃহস্থালি কাজের উপাদান-উপকরণের চাহিদা মেটাতে আলাদা করে উদ্যোগ নিতে হয় সেই সরকারকে। খাদ্য ঘাটতি, বস্ত্রের চাহিদা মেটানো ছিল তাদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। কারণ পাকিস্তান সরকার আমাদের অর্থনীতিকে সবসময় পর্যুদস্ত করে রেখেছিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। প্রাণহানি, ধর্ষণ, গণহত্যা- শারীরিক, মানসিক সব ক্ষতি হিসেবে ধরলে এই অঙ্ক আরো বেড়ে যাবে। এ ধরনের ক্ষতির মুখে পড়া একটি দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার যে ভূমিকা পালন করেছে, তার প্রশংসা না করে কিন্তু উপায় নেই।

আজকে রাষ্ট্রীয় যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো করছে, বিশ্বজোড়া প্রশংসা কুড়াচ্ছে, তার বেশিরভাগ দেখা যায় জাতির জনকের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। পুনর্নির্মাণ ও পুনর্বাসন- এ দুটি বিষয় সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে। এ ধরনের কাজ কিন্তু অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

তখনকার সরকার যাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সহায়তা করেছে তার মধ্যে আছে- কৃষক, তাঁতী, জেলে, কামার, কুমার। তাদের সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় যন্ত্রাদি, দোকানপাট হারিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষক উভয় গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের দায়-দায়িত্বও সরকারকে নিতে হয়েছে। এতিম ও নির্যাতিত নারীদের বাড়িঘর করে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এই সেবা পুনরায় নিশ্চিত করতে কাজ করতে হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সংস্কার করতে হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে।

মহামারি প্রতিরোধে গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু সরকারকে তখন আলাদা করে নজর দিতে হয়েছে। এসব কাজের জন্য সরকারকে ১৯৭২ সালের জুন মাসের মধ্যে ১০৭ দশমিক ৩১ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হয়েছে। এগুলো ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম ধাপের কাজ।

দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় জুন মাসের শেষে। যার সূচনালগ্ন আসলে নতুন অর্থবছর। তখন কিন্তু শরণার্থীদের দেশে ফেরার গতি আরো বেড়েছে। ফলে নতুন জাতীয় বাজেটে তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিতে আরো জোর দিতে হয়েছে। এর জন্য বাড়িঘর নির্মাণ, পুনর্বাসন ও যুদ্ধে নিঃস্ব জনতাকে আর্থিক সহায়তা করতে হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে পরিবহন, জ্বালানি ও শিল্পখাত প্রভূত ক্ষতির শিকার হয়। এই ক্ষতি মিটিয়ে আবার এগুলোকে সচল করতে অনেক কর্মসূচি নিতে হয় সরকারকে। অর্থনীতিবিদদের হিসাবে, শুধু পরিবহনখাত (সড়ক, রেল, বেসামরিক বিমান ও অভ্যন্তরীণ নৌযান এবং বন্দর) মুক্তিযুদ্ধে ১২২ দশমিক ৬৫ কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়। এগুলোর সংস্কারে সরকারকে দ্রুতই ব্যবস্থা নিতে হয়। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্জন ছিল এককথায় অসাধারণ।

এখানে উল্লেখ করতে হয়, আমরা যে সুভ্যেনির করেছিলাম তাতে মুক্তিযুদ্ধে ভগ্নপ্রাপ্ত অচল হয়ে যাওয়া হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ছবি দেওয়া হয়। আবার আরেক ছবি দেওয়া হয়, যেখানে ভারতীয় প্রকৌশলীদের সহায়তায় এটি সংস্কার করা হয়েছে। এটি আসলে দ্রুতগতিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের প্রতীকী চিত্র হিসেবে দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু সরকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে দ্রুত বিদ্যুৎসেবা আবার ফিরিয়ে আনে। ঈশ্বরদী, উলন ও খিলগাঁও সাবস্টেশন মেরামত করা হয়। দ্রুতই সিদ্ধিরগঞ্জ, ভেড়ামারা, রূপগঞ্জ, দিনাজপুর ও মেহেরপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল হয় এবং এগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হয়।

কৃষিখাতের প্রসঙ্গ নিয়ে বলি। আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শমতে বঙ্গবন্ধু সরকার পরিস্থিতি উন্নয়নে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক জোগানে মনোযোগ দেয়। কৃষকরা যাতে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি সার ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে তার জন্য উদ্যোগ নেয় সরকার। এই সময়ে উন্নতমানের বীজ ও বালাইনাশক আমদানি করা হয়। প্রায় ২৪ হাজার টন ইরি-২০ ও ৮০০ টন ইরি-৮ এর বীজ আনা হয় জরুরি ভিত্তিতে। এগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এ কারণে ১৯৭২ সালে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা যতটা ছিল, বাস্তবে তা অনেকটাই প্রতিরোধ করা গেছে। বঙ্গবন্ধু সরকার বড়, মাঝারি, ক্ষুদ্র সব ধরনের শিল্পখাতের সমন্বয় সাধন করতে সক্ষম হয়। এই কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি দ্রুতই ইতিবাচক পথে যেতে থাকে।

যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ জন্মের পাঁচ দশকের কাছে এসে যে অগ্রগতি সাধন করেছে, তার পেছনে বঙ্গবন্ধু সরকারের সুদক্ষ কর্মযজ্ঞ আসলে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এর স্বীকৃতি কিন্তু আজকাল বৈশ্বিক পর্যায়ের বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে এবং জগদ্বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা পর্যন্ত দিচ্ছেন।

মোহাম্মদ জমির : সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রধান তথ্য কমিশনার

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমানবিস্তারিত পড়ুন

উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেবিস্তারিত পড়ুন

  • সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্তই জরুরি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত ভুল: ওবায়দুল কাদের
  • ম্যাসেজ টু কমিশনার (M2C) : রাস্তার অবৈধ দোকান সরানো হলো
  • শিল্পকলা পুরস্কার পেলেন ১৩ জন আলোকচিত্র শিল্পী
  • ‘আমলাতন্ত্রকে ভেঙে গণমুখী বাজেট তৈরির আহ্বান’
  • চড়াই-উতরাই থাকবে হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী
  • দাম বাড়ছেই ডিমের
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালো বাংলাদেশ দল
  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • ৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 
  • বাকৃবি গবেষকের সাফল্য এই প্রথম সুস্বাদু দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স উদ্ভাবন