সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বাঁশের চাই তৈরি শিল্প হারাতে বসেছে, বালিয়াকান্দিতে ভাল নেই কারিগররা

রাশেদ খান মিলন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ মাছ ধরার কারেন্ট জালের ব্যাপক বিস্তারের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পলো ও চাই। এক সময়ে গ্রাম বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা থেকে মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হতো বাঁশের তৈরি এসব পণ্য সামগ্রী।

এই শিল্পের ওপরে জীবিকা নির্বাহ করতেন রাজবাড়ী জেলার শত শত পরিবার। সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলার খাল-বিল, নদ-নদী নব্যতা হারানোর কারণে এবং কারেন্ট জালের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এই শিল্পে জড়িত কারিগরদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন ভাল যাচ্ছে না তাদের।

অভাব-অনটন ও এনজিওর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে এ পেশার মানুষরা। অনেকেই জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

রাজবাড়ীর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউপির প্রায় ৫০০টি পরিবার মাছ ধরার চাই তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্ষাকালে নদী, খাল-বিল, পুকুর পানিতে ভরে ওঠে। গ্রামের কিশোররা কলা গাছের ভেলা বানিয়ে ভেসে বেড়ায় বিলের জলে। মাছ ধরার আনন্দে মেতে উঠে সব বয়সের মানুষ। বর্ষাকাল আসতে এখনও অনেক দেরি আর এখন থেকেই মাছ ধরার প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরিতে আগে ভাগেই ব্যাস্ত সময় পার করছে কারিগররা।

চাই তৈরির কারিগর নবাবপুর ইউপির পদমদী গ্রামের আ. সামাদ খান বলেন, বছর চুক্তিতে ব্যপারীর হয়ে মাছ ধরার সামগ্রী তৈরি করে থাকি। একটি চাই তৈরি করলে ব্যাপারীর কাছ থেকে ১৫-২০ টাকা পেয়ে থাকি।দিনে ১৫-২০টি চাই তৈরি করি। এ থেকে যা আসে তাই দিয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে কোন ভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

পদমদী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বশির শেখ বলেন, আমি দুই বছর যাবৎ মাছ ধরার চাই তৈরি করে থাকি। যা হয় কোন রকম ভাবে দিন চলে।তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে বাঁশের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে দেশে এবং বিদেশের চাহিদা মিটানো সম্ভব।

নবাবপুর ইউপির সদা শিবপুর গ্রামের মো. মিলন শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় মোট তিনজন ব্যাপারী আছেন। আর এই তিনজনের কাছে মহিলা-পুরুষসহ মোট ৫০০ জন কাজ করে থাকে।

নবাবপুর ইউপির শিবপুর গ্রামের কুটির শিল্পী ব্যাপারী মো. ছলেমান শিকদার বলেন, ব্যবসার মূল সময় হচ্ছে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাস। আর বাকি কয়েক মাস প্রায় বসেই থাকতে হয়। কারণ এ সময় তো আর খাল-বিল ও জলাশয়ে পানি থাকে না। ২৭ বছর ধরে মাছ ধরা চাই তৈরি করে জীবিকা নিবাহ করছি। চাই তৈরির খড়ি-লাকড়ি কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনে এনে বাড়িতে চাই তৈরি করি। প্রতিটা চাই ১০০-১৮০ টাকা দরে ঢাকা, ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, যশোর, বরিশাল, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করে থাকি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রেলগেটে ট্রেনে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল,বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বার সভাপতির শপথ নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুববিস্তারিত পড়ুন

পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার মিলল ২৭ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ২৭বিস্তারিত পড়ুন

  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • নকলা ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ
  • দুর্গাপুরে মনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
  • ভোর থেকে সন্ধ্যা, একে একে মারা গেলেন স্বামী-স্ত্রী-ছেলে
  • টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
  • সন্ত্রাসী হামলায় আইনজীবী আহত
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • সোনারগাঁয়ে ভোটকেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
  • মানিকগঞ্জে হুমকি দিয়ে মন্দিরের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ
  • ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়েরও
  • হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
  • দুর্ভোগে নগরবাসী টানা বৃষ্টি