শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

জঙ্গি প্রভাব

বাড়িওয়ালা আতঙ্কে, বিড়ম্বনায় ব্যাচেলররা

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই মেস ভাড়ার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল। কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বাড়ি’তে অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় এখন এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে বাড়ির মালিকদের বিশেষ করে যারা বাড়িতে মেস ভাড়া দিচ্ছেন। তারা তাই ব্যাচেলরদের ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে দশবার ভাবছেন। কারণ ওই তিন ঘটনায় জড়িত জঙ্গিরা সবাই ব্যাচেলর বাসা ভাড়া করে থাকতেন।

এরই প্রভাব পড়েছে রাজধানীতে ভাড়ায় থাকা কয়েক লাখ ব্যাচেলরের ওপর। যারা আছেন তাদের অনেককে বলা হচ্ছে মেস ছেড়ে দিতে। যারা নতুন মেস খুঁজছেন তারা জায়গা পাচ্ছেন না। এদের বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী।

এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীতে প্রায় ৪৫ হাজার বাসাবাড়িতে মেস রয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ ব্যাচেলর বসবাস করছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাড়ির মালিক ও ব্যাচেলর ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানা দুই পক্ষের বিড়ম্বনার কথা। গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরের ঘটনায় বাড়ির মালিকরা গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন আর মেস ভাড়া দিতে আগ্রহী নন মালিকরা। বাড়ির মালিকদের এই সিদ্ধান্তে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে ব্যাচেলর ভাড়াটিয়াদের।

রাজধানীতে মেসের জন্য সুপরিচিত আরামবাগ, ফকিরাপুল ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় ‘টু-লেট’ ঝুললেও তা ব্যাচেলরদের জন্য প্রযোজ্য নয়। ফকিরাপুলের এক বাসায় বর্তমানে মেস ভাড়া রয়েছে। কিন্তু আগামী মাসে তা ফ্যামিলি ভাড়া দেওয়া হবে লেখা টু-লেট লাগানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, মেসে অনেক সমস্যা। সে কারণে আগামী মাস থেকে ফ্যামিলি ভাড়া দেওয়া হবে। এই বাড়ির মেস মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরও মালিক তাদের আগামী মাসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছেন।

বাড়ির মালিকদের সর্তক হওয়া সংগত, কিন্তু ব্যাচেলররা যাবেন কোথায়? ঢাকা কলেজের ইলিয়াস আহমেদ জানান, মতিঝিলের আরামবাগে একটি কক্ষে ছয় হাজার টাকায় ভাড়া থাকেন ‍দুই বন্ধু। আগামী মাসে বাড়ি ছেড়ে দিতে নোটিশ দিয়েছেন মালিক।

ইলিয়াস বলেন, “১৫ তারিখের পর থেকে বাড়ি খুঁজছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া পাচ্ছি না। ফ্যামিলি ছাড়া বাড়ি ভাড়া দিতে চাচ্ছেন না কোনো মালিক। এক রুমের ভাড়া বেশি দিচ্ছি তারপরও বাড়িওয়ালা ভাড়া দিতে চান না।”

ফ্যামিলির চেয়ে মেস ভাড়া দিলে টাকা বেশি পাওয়া যায়। তাই অনেক বাড়িওয়ালা মেস ভাড়া দেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ ফ্যামিলি ছাড়া ভাড়া দিতে চান না। তারা মনে করছেন, এতে শুধু বিপদই ডেকে আনা হবে।

আনোয়ার হোসেন আরামবাগের ৭৯ নম্বর বাসায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে তিনজন থাকেন। বাসার পরিসর ছোট হওয়ায় আগামী মাস থেকে বাড়িওয়ালাকে না করে দিয়েছিলেন। এখন পড়েছেন বিপদে। কোথায় ভাড়া পাচ্ছেন না। ব্যাচেলরদের কোনো বাড়িওয়ালাভাড়া দিতে চান না।

এখনো কোনো বাড়ি ভাড়া না পাওয়ায় হতাশা আনোয়ার বলেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে শুধু ব্যাচেলর কেন, সবারই তথ্য পুলিশের কাছে থাকা উচিত। অল্প কিছু সংখ্যক বিপদগামী জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপরাধের দায় লাখ লাখ ব্যাচেলরের ওপর বর্তানো উচিত নয়। রাজধানী থেকে মেস তুলে দেয়া হলে লাখ লাখ ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া বিপদে পড়বে।

এ বিষয়ে কথা হয় আরামবাগের বাড়িওয়ালা এ আর আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি বের হওয়ার পর এখন অনেকে বাড়িওয়ালাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু শুধু বিপদে পড়তে চায় কে! এ কারণেই ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে অনীহা।

আবদুর রহমান বলেন, একটি মেস বাসায় পাঁচ ব্যাক্তির মধ্যে তিনজনই নিরাপরাধ, কিন্তু ‍দুজন জঙ্গি অথবা গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে বাড়ির মালিকও জড়িয়ে যায়। এ করণেই বাড়িওয়ালাো ব্যাচেলরদের ভাড়া দিতে চান না। বাড়ি ভাড়ার আগে ভাড়াটিয়ার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ভাড়া দিলে এই বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্ররা। তাদের অধিকাংশের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। বগুড়ার সাঈদুল আনাম নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়েছে এবারই। ক্লাস শুরু হওয়ায় ঢাকার আরামবাগে তার আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। গত কয়েক দিন ধরে বাড়ি ভাড়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কোনো বাড়িওয়ালা ভাড়া দিতে চান না। সাঈদুল বলেন, “আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাড়ি ভাড়া পাইনি। পরিচিত এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি। কিন্তু কয়দিন তার বাসায় থাকব। বাসা না পাওয়ায় পড়াশোনাও করতে পারছি না ঠিকমতো।”

সাঈদুল বলেন, “বাড়িওয়ালা জাতীয় পরিচয়পত্র চায় আমার কাছে। কিন্তু আমার তো জাতীয় পরিচয়পত্র হয় নাই। তবে কলেজের আইডি কার্ড দিলেও বাড়ি ভাড়া দিতে নারাজ।”

নতুন মেস ভাড়ার ক্ষেত্রেই শুধু এই বিড়ম্বনা নয়, আগে থেকে যারা মেসে আছেন তাদের জন্যও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফকিরাপুলের কমিশনার গলিতে ৩৩ নম্বর বাসায় প্রায় দুই বছর ধরে মেসে থাকেন আমান উল্লাহ ও ফয়সাল ইবনে শহীদ। একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত এই ভাড়াটিয়া বলেন, গত সপ্তাহে মালিক ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পাঠিয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিসহ ফরম পূরণ করে দিতে হয়েছে। এ বিষয়ে এ বাড়ির মালিক বলেন, থানা থেকে মেস ও মেসের সদস্যের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাই এগুলো পূণ করে দিতে হচ্ছে।

রাজধানীতে ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া পেতে বিড়ম্বনার বিষয়ে কথা হয় মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) গোলাম রব্বানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “বাড়িওয়ালাদের বাড়ি ভাড়াসংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িওয়ালাকে ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম দেওয়া হয়েছে। তা পূরণ করে বাড়ি ভাড়া দিতে পারবে। তথ্য ফরম পূরণ করে ব্যাচেলর কেন সব ভাড়াটিয়াকেই বাড়ি ভাড়া দেওয়া যাবে। এর বাইরে আর কোনো নির্দেশনা আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।” ঢাকা টাইমস

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দাম বাড়ছেই ডিমের

আবারও অস্থির হয়ে ওঠেছে দেশের ডিমের বাজার। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছেবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনবিস্তারিত পড়ুন

নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালো বাংলাদেশ দল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টাইগারদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • ৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 
  • বাকৃবি গবেষকের সাফল্য এই প্রথম সুস্বাদু দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স উদ্ভাবন
  • এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ
  • আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
  • কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন
  • উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
  • সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা