শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে দেবে না এ সরকার

বিএনপি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে সরকার ঠিক তখনই কাউন্সিলের অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য নানা চক্রান্ত শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে দেশে আজকে এক ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফখরুল। বিএনপি ঘরোনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সরকারকে ‘ভোটারবিহীন’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকা। রাষ্ট্রের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস, এমনকি দেশের অর্ধেক মানুষকে কারাগারে নিয়ে হলেও তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। দেশে এখন ভিন্ন আঙ্গিকে স্বৈরশাসন চলছে। গণতন্ত্রের মুখোশটাই শুধু রেখে দেয়া হয়েছে। আর কাজ হচ্ছে সব একদলীয় শাসনের মতো।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো রাজনৈতিক দল। দলটির গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। অতীতে গণতন্ত্রের জন্য তারা অনেক ত্যাগ স্বীকারও করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এই দলটির হাতেই বারবার গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত এ দেশে যারাই ভিন্নমত পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে হত্যা করেছে নয়তো গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাদেরকে রাজনীতি করতে দেয়নি। তারপরও তারা যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি তখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। এগুলো আওয়ামী লীগের ইতিহাস।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের কোনো রাজনীতি নেই। তাই তারা একটির পর একটি ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করছেন। যারা ভিন্নমত পোষণ করছেন, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য কথা বলছেন, তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি যখনই একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে চলে গেছে, ভোটারবিহীন এই সরকার ঠিক তখনই সে অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য নানা চক্রান্ত শুরু করেছে। গণতন্ত্রের সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে দেশে আজকে এক ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। দেশে এখন মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। কথায় কথায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার ও গুলি করা হচ্ছে।’

দেশে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, এনডিপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী, জিয়া নাগরিক ফোরামের (জিনাফ) সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগেরবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়

বর্তমানে চলছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের মত এই উপজেলা বির্নাচনেওবিস্তারিত পড়ুন

  • পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেছেন মির্জা ফখরুল
  • ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন 
  • সব পন্থি সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়: ফখরুল
  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের
  • প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন 
  • হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন
  • খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি
  • থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি
  • খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী
  • শ্রমিক অধিকার নিয়ে নালিশের নিষ্পত্তি নভেম্বরে: আইনমন্ত্রী 
  • বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩ নেতার পদোন্নতি