মাংস ব্যবসায়ীদের সমস্যা মিটবে চার-পাঁচ দিনে: তোফায়েল
আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আজ রোববার সচিবালয়ে রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত এক সভায় মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের বলেছেন, ঢাকার দুই মেয়রের সঙ্গে কথা বলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
এদিকে আজ সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে রমজানের প্রথম দিন থেকে সারা দেশে কর্মবিরতিতে যাবেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
রবিউল আলম বলেন, দাবি পূরণ না হলে তাঁদের ঘোষিত কর্মবিরতি ধর্মঘটে রূপ নিতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাম বেশি হওয়ায় গরু ও খাসির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে মাংস বিক্রি কমে গেছে। বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ, সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
গাবতলী গরুর হাটে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মিত মেয়র হানিফ আশ্রয়কেন্দ্র ও সমিতির অফিস ইজারাদারেরা তালা মেরে দিয়েছেন। তাই সমিতির কার্যক্রম বন্ধ আছে এবং লাগামহীনভাবে মাংস ব্যবসা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এই কার্যালয় খুলে দেওয়া না হলে উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা ও রমজান উপলক্ষে মাংসের মূল্য নির্ধারণী সভাতেও তাঁরা যোগ দেবেন না বলে জানানো হয়।
গরুর মাংসের ব্যবসা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ইজারাদারদের দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দিল মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। এর আগে গত ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, তাঁদের দাবির মধ্যে আছে, খাজনা কমানো, চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা করা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একটি স্থায়ী পশুর হাট তৈরি, মানসম্মত একাধিক কসাইখানা তৈরি ইত্যাদি।
এক প্রশ্নের জবাবে রবিউল আলম বলেন, সমস্যার সমাধান হলে গরুর মাংস ৩০০ টাকা কেজি আর ছাগলের মাংস ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নবনির্মিত এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অববিস্তারিত পড়ুন
আজ আইওএম মহাপরিচালক ঢাকায় আসছেন
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ আজ রোববারবিস্তারিত পড়ুন
প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকার টিকিটে চোখ পরীক্ষা করালেন
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেবিস্তারিত পড়ুন