মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সন্তানকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান গৃহবধূ

আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হাতে নির্যাতিত নারায়ণগঞ্জের এক গৃহবধূ। এছাড়াও স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় লাঞ্ছনা ও স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়ায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফয়জুন নেছা মিথিলা।

মিথিলা ফতুল্লা পিলকুটি মোল্লা বাড়ি এলাকার মজনু বিল্লার মেয়ে এবং ঢাকার কদমতলী মোরজনগর এলাকার হুছাইন মজুমদারের স্ত্রী।

লিখিত বক্তব্যে ফয়জুন নেছা মিথিলা জানান, ২০১২ সালের ২৩ মার্চ ভালোবেসে ঢাকার কদমতলী মোরজনগর এলাকার মান্নান মজুমদারের ছেলে হুছাইন মজুমদারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। প্রথমে বাবা-মাসহ আত্মীয় স্বজন মেনে না নিলেও ৬ মাস পর সকলই মেনে নেয়। যার ফলে মিথিলার বাবা-মা ৬ ভরি ১৯ আনা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র দেয়। ওই সময় তার স্বামী হুছাইন মজুমদারের গ্রী-স্টার কেমিক্যাল কোম্পানির (তুলসি পাতার মশার কয়েল) ব্যবসা ভালো চলছিল। ২০১৪ সালে স্বামী হুছাইন মজুমদার ব্যবসার উন্নতির জন্য টাকার কথা বললে বাবার কাছ থেকে এ লাখ নগদ ও চেকে তিন লাখ টাকা এনে দেন মিথিলা।

তিনি বলেন, এরপর স্বামী হুছাইন মজুমদার আবারও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন- যা ছয় মাস পরে ফেরত দেয়া হবে। তখন খালা-খালুর কাছ থেকে আমি সাড়ে ৪ লাখ টাকা এনে দেই। এর মধ্যে আমাদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম হুমায়রা আলভী। এর আরো কিছুদিন পর ভাসুর আজম, দেবর জসিম ও আমার স্বামী আর টাকার জন্য চাপ দেন। টাকা না দেয়ায় তারা গালাগাল করে ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এর কিছুদিন পর আবারও গাড়ি কেনার কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন স্বামী। তখনও না করলে ভাসুর আজম, দেবর জসিমসহ অমানবিক নির্যাতন চালায়।

ফয়জুন নেছা মিথিলা বলেন, এতো নির্যাতন সহ্য করেই সংসার করছিলাম। ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেরাজ নগরে বাসায় থাকা অবস্থায় আমাকে কক্সবাজার ঘুরতে নিয়ে যান স্বামী হুছাইন মজুমদার। কিন্তু এরপর থেকেই আরও নির্যাতন শুরু হয়। তখন সবাই আমাকে এক কাপড়ে শিশু সন্তানকে রেখে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং ৫ লাখ টাকা নিয়ে আসতে না পারলে ওই বাড়ির দরজা বন্ধ বলে জানায়।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন সাহায্যে কদমতলী থানায় একটি অভিযোগ দেই। কিন্তু ওই থানার ওসি আমার সন্তান ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। পরদিন থানায় একটি জিডি করি। যার নাম্বার ৪৩৩। এতো কিছুর পরও যখন ব্যর্থ হই তখন ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করি। এদিকে স্বামীর বাড়ির লোকজন উল্টো আমার বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে মিথিলার বাবা মো. মজনু বিল্লাহ, সৎ মা মলি বেগম, চাচা মিলটন মিয়া, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহানারা পারভীন, নারী সংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পাদক পপি রাণী সরকার, বাংলাদেশ ছাত্রফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি

চলমান উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেবিস্তারিত পড়ুন

ময়মনসিংহের এমপি শান্ত দলীয় বিরোধে পদত্যাগের ঘোষণা 

গত সংসদ নির্বাচনের ভোট নিয়ে বিতর্ক তুলে বক্তব্যের জেরে জেলাবিস্তারিত পড়ুন

লক্ষ্মীপুর জেলায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগী গ্রামে বজ্রপাতে মো. মোস্তফাবিস্তারিত পড়ুন

  • কাউন্সিলর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ 
  • মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ
  • কামরাঙ্গীরচরে বিষপান করে পগৃহবধূর আত্মহত্যা
  • বানিয়াচং উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে, ৩ জনে মৃত্যু
  • সাতক্ষীরা জেলায় আম সংগ্রহ উদ্বোধন
  • ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
  • ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
  • পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
  • মোহাম্মদপুরে ৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার
  • বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার