সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে ইলিশ ধরছে জেলেরা
সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে রাজবাড়ীর ৮ হাজার ৯শ ৮২ জন নিবন্ধিত জেলে জেল-জরিমানা উপক্ষো করেই প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে নদীতে নামছে।
প্রজনন মৌসুমে নদীতে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত নৌকা পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে উল্লেখ্য হারে চোখে পড়ছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা মৎস অধিদফতরে অভিযানে অনেক জেলের জেল-জরিমানা, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হলেও তেমন ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে না জেলেদের মধ্যে।
তাছাড়া মাছ না ধরা অনেক জেলের অভিযোগ, মৎস অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পূর্বে নদীতে মাছ শিকারে থাকা জেলেদের জানিয়ে দেওয়া হয় অভিযানের কথা।
জেলা মৎস অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ১২ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর ২৭টি মামলার মাধ্যমে ৭৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও ৪৭ জন জেলেকে অর্থদণ্ডের মাধ্যমে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও মো. জব্বার খা জানান, গত মৌসুমে কার্ড পেলেও আজ পর্যন্দ কোনো সাহায্য সহযোগিতা তারা পাননি। নদীতে নামতে পারছি না, তাহলে সংসার চলবে কী করে। বাধ্য হয়ে আমার নদীতে নেমেছি। অভিযানের ভয়ে মাছ মারি কিন্তু বেচতে গেলে দাম পাই না। আবার অনেকে ভয় দেখায়।
জেলা মৎস কর্মকর্তা মোহা. মজিনুর রহমান জানান, রাজবাড়ী মৎস অধিদফতর নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। জেলায় ৮ হাজার ৯শ ৮২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এ জেলেদের ভিজিএফ চাল প্রদানের ব্যবস্থা এখনো করতে পারিনি। ১৪টি জেলায় নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণ করা হচ্ছে, এর মধ্যে রাজবাড়ী নেই। তবে রাজবাড়ীর জেলেদের মধ্যে যেন চাল বিতরণ করা হয় সেজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অভিযানের কথা আমাদের দফতর থেকে বিভিন্ন জেলেদের জানানো হচ্ছে সেটা আমিও শুনেছি, তবে এর সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ ও গ্রামবাসী একত্রে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা
আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগেবিস্তারিত পড়ুন
ভয়ংকর অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে: ডিবি প্রধান
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যানবিস্তারিত পড়ুন